ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির কারাদণ্ড

আপডেট: September 30, 2021 |

ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন প্যারিসের একটি আদালত। ২০১২ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় অবৈধ অর্থায়নের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে এই কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার তাকে এই সাজা দেয়া হয়েছে। খবর রয়টার্স

তবে ৬৬ বছর বয়সী সারকোজির কারাগারে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি আদালতের এই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যে কারণে এই সাজা স্থগিত হয়ে যেতে পারে। সাজা ঘোষণার সময় আদালতের বিচারক বলেছেন, কারাদণ্ডের এই সাজা নিকোলাস সারকোজি বাড়িতে ভোগ করতে পারবেন; এ জন্য তাকে ইলেক্ট্রনিক ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে।

চলতি বছরে ফ্রান্সের আদালতে এ নিয়ে দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকারী নিকোলাস সারকোজি।

প্যারিসের আদালতের প্রসিকিউটর বলেছেন, ২০১২ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় নির্বাচনে খরচের আইনি সর্বোচ্চ সীমা ২ কোটি ২৫ লাখ ইউরোর দ্বিগুণের বেশি ব্যয় করেছিলেন নিকোলাস সারকোজি। অযৌক্তিক প্রচারণা ও সমাবেশে এই অর্থ ব্যয় করার পর খরচ লুকানোর জন্য একটি ‌জনসংযোগ সংস্থা নিয়োগ করেছিলেন তিনি।

তবে নিকোলাস সারকোজি নির্বাচনী প্রচারণায় অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত জুনে তিনি দেশটির আদালতকে বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রচারণার রসদ সরবরাহ অথবা নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময় অর্থ ব্যয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না তিনি।

কিন্তু আদালত বলেছেন, সারকোজিকে অতিরিক্ত ব্যয় সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল এবং তিনি তা শোনেননি। প্রত্যেকের ব্যয়ের জন্য তার অনুমোদনের দরকার ছিল না।

গত মার্চে বিচারককে ঘুষ দেয়ার চেষ্টা এবং বিচারিক তদন্তের গোপনীয় তথ্য পাওয়ার জন্য প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার দায়ে পৃথক একটি মামলার বিচারে দোষী সাব্যস্ত হন সারকোজি। তবে এই অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি। ওই মামলায় তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন দেশটির আদালত। পরে দুই বছরের সাজা স্থগিত করা হয়। আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করায় এখনো তাকে সাজা ভোগ করতে হয়নি। এই মামলা এখনো ঝুলে আছে।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর