‘প্যান্ডোরা বাকসো’ থেকে পুতিনের এক বান্ধবীর গল্পও বেরিয়ে আসছে

আপডেট: October 4, 2021 |

২০০৩ সালের ঘটনা। গোপনে বড় ধরনের লেনদেন হয় মোনাকোতে। সেখানকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট হাত বদল হয়। আর সেই হাতবদল করে দেন স্থানীয় একজন দলিল লেখক। জানলে অবাক হবেন, অ্যাপার্টমেন্টটি হাতবদল হয়েছিল ৩.৬ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে।

বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে ক্রেতা পেয়েছিলেন বিলাসবহুল চার তলা ভবন, দুটি পার্কিং স্পেস, একটি স্টোররুম এবং মন্টে কার্লো স্টার কমপ্লেক্সে একটি পুল।

সেই ভবনের বারান্দা থেকে মোনাকোর ঝলমলে দৃশ্য উপভোগ করা যায়। একসঙ্গে ভাসমান সুপারিয়াচটও চোখে পড়ে সব সময়। ভবনের ছাদে রয়েছে দারুণ বাগান। বিলাসবহুল ভবনটিতে রয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যন্ত।

আর সেই ভবনের ক্রেতার ব্যাপারে ছিল রহস্য। এটির ক্রেতা হিসেবে দেখানো হয়েছিল ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডের অফশোর কম্পানি ব্রকভিলে ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডকে। তবে এই ব্যবস্থাকে কিছুটা রাশিয়ান পুতুলের মতো দেখাচ্ছিল। যেখানে চূড়ান্ত সুবিধাভোগী স্তরে তারাই ছিল।

গার্ডিয়ান এরই মধ্যে ওই ভবনের ক্রেতাকে চিহ্নিত করেছে। ২০০৩ সালে যার বয়স ছিল ২৮ বছর। তার নাম স্বেতলানা ক্রিভোনোগিক। গত শতাব্দীর শেষের দিকে হুট করেই এই নারী ধনী হয়ে যান।

তিনি তার নিজ শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে একটি মর্যাদাপূর্ণ এলাকায় একটি ফ্ল্যাট, একটি ইয়ট এবং অন্যান্য সম্পদ গড়েছেন। যার আনুমানিক মূল্য ১০০ মিলিয়ন ডলার।

তার রূপকথার উত্থান কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন? গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই নারী খুবই বিনয়ী। তিনি যৌথ পরিবারের অ্যাপার্টমেন্টে বেড়ে উঠেছেন। পাঁচটি পরিবারের সাথে একটি রান্নাঘর এবং বাথরুম ভাগ করে নিতে হয়েছিল তাকে।

তিনি পড়াশেনা করেছেন বাণিজ্য বিভাগে। প্রথম জীবনে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তিনি পাশে পেয়েছেন বলে মিডিয়ায় খবর বেরিয়েছে।

২০২০ সালে গণমাধ্যমে খবর বের হয়, ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল স্বেতলানা ক্রিভোনোগিকের। তারা একই বিমানে ভ্রমণ করেছেন। ২০০৩ সালে স্বেতলানা ক্রিভোনোগিক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তার নাম এলিজাবেথ অথবা লুইজা। অভিযোগ রয়েছে, ওই কন্যা সন্তানের বাবা পুতিন।

এ ব্যাপারে ক্রেমলিন অবশ্য কোনো মন্তব্য করেনি। পুতিনও নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বলেন না। পুতিন ও তার স্ত্রী লিউডমিলা- যার দুই মেয়ে মাশা এবং ক্যাটরিনা রয়েছে; ২০১৩ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে তার।

লুইজা সব সময় পুতিনের ব্যাপারে করা সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান। গার্ডিয়ানের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ও তার মা বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। সূত্র: গার্ডিয়ান।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর