একশ বছরের গবেষণার ম্যালেরিয়ার টিকার অনুমোদন

আপডেট: October 7, 2021 |

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিইএইচও) ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে প্রথম ভ্যাকসিন অনুমোদন করে, যা প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হবে।

কুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়াসহ বিভিন্ন মশা বাহিত রোগ ছড়ায়। আর ম্যালেরিয়ায় প্রতি বছর প্রায় ৫ লাখ মানুষ মারা যায়। যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই আফ্রিকার শিশু।

টানা কয়েক দশক গবেষণা আর চেষ্টার পর মশাবাহিত প্রাণঘাতী রোগ ম্যালেরিয়ার প্রথম ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সফলতার মুখ দেখলেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।

যুক্তরাজ্যের ওষুধপ্রস্তুতকারক কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন বিশ্বে প্রথমবারের মতো এই রোগের টিকা আবিষ্কারে সক্ষম হয়েছেন।

বুধবার (৬ অক্টোবর) ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে প্রথম ভ্যাকসিন অনুমোদন করে এই ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ম্যালেরিয়া সংক্রামক রোগের মধ্যে প্রাচীনতম পরিচিত এবং মারাত্মক একটি রোগ। এটি প্রতি বছর প্রায় অর্ধ মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করে, তাদের প্রায় সবাই সাব-সাহারান আফ্রিকার।তাদের মধ্যে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যাই বেশি।

ক্লিনিকাল পরীক্ষায়, প্রথম বছরে মারাত্মক ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা প্রায় ৫০ শতাংশ ছিল, কিন্তু চতুর্থ বছরে শূন্যের কাছাকাছি নেমে আসে।

ম্যালেরিয়ার মৃত্যুর অর্ধেক পর্যন্ত এবং এটিকে “মৃত্যুর একটি নির্ভরযোগ্য প্রক্সিমাল ইন্ডিকেটর” হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ডব্লিউএইচও’র জানায়, আশা করি আমরা ভ্যাকসিনটির কার্যকর প্রভাব দেখতে পাব।”

গত বছর একটি মডেলিং স্টাডিতে অনুমান করা হয়েছিল যে, যদি ম্যালেরিয়ার সর্বোচ্চ প্রাদুর্ভাবের দেশগুলোতে টিকা প্রেরণ করা হয়, তাহলে এটি প্রতি বছর ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৫.৪ মিলিয়ন কেস এবং ২৩ হাজার মৃত্যুর ঘটনা রোধ করতে পারে।

ভ্যাকসিনের সাম্প্রতিক পরীক্ষায় দেখা গেছে যে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু রোধে দ্বৈত পদ্ধতি অনেক বেশি কার্যকর ছিল।

ডব্লিউএইচও’র গ্লোবাল ম্যালেরিয়া প্রোগ্রামের পরিচালক ড. পেড্রো আলোনসো বলেন, ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং কার্যকর। এটির অনুমোদন “একটি ঐতিহাসিক ঘটনা”।

পরজীবী ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার চেয়ে অনেক বেশি জটিল, এবং ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা একশ বছর ধরে চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন: “বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষের পরজীবীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রজন্মের ভ্যাকসিন পাওয়া একটি বিশাল লাফ।” সূত্র: দ্যা নিউ ইউর্ক টাইমস্

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর