ফ্রান্স-ইংল্যান্ড সীমান্তে মানবপাচার, ২১ জনকে জেল-জরিমানা
ফ্রান্স-ইংল্যান্ড সীমান্তে মানব পাচারের দায়ে ২১ অভিযুক্তকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার উত্তর ফ্রান্সের লিল শহরে মানবপাচারকারীদের সাত বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ ইউরো জরিমানা করা হয়।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে বেশিরভাগই রোমানিয়ান নাগরিক। তাদের সাথে কয়েকজন ইরানি, ইরাকি বা আফগান রয়েছে। তাদের অধিকাংশই ছিলেন একটি রোমানিয়ান পরিবহন কোম্পানির ভারী যানবাহন চালক, পরিবহনকারী বা ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) মানব পাচারকারীদের একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের ২১ জন সদস্যের বিরুদ্ধে উত্তর ফ্রান্সের লিল শহরের আদালত সাত বছরের কারাদণ্ডের রায় দেয়। দণ্ডপ্রাপ্তদের ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের মধ্যে অভিবাসীদের অবৈধ পরিবহন (ট্রাক, লরি ইত্যাদি ) যোগে পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আদালত জানায়, দণ্ডপ্রাপ্তরা ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ফ্রান্স-ইংল্যান্ড সীমান্তে অভিবাসীদের অবৈধ পরিবহনের মাধ্যমে এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাচার করেছে। এই পাচারের জন্য চক্রটি অভিবাসীদের কাছ থেকে মোট ৪.৭ মিলিয়ন ইউরো অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ফ্রান্সের উত্তরে অবস্থিত বহুল আলোচিত সীমান্তবর্তী কালে বন্দরে একজন রোমানিয়ান ভারী ট্রাক চালককে গ্রেপ্তারের পর মূলত এই তদন্ত শুরু হয়েছিল। ট্রাকটিতে তিনজন কুর্দি অভিবাসীকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
এসময় বেশ কিছু ব্রিটিশ ফোন নাম্বার ট্র্যাক করে ফ্রান্সের গ্রন্দ-সান্থ অঞ্চলের আশেপাশে অবস্থিত বেশ কিছু রোমানিয়ান নাগরিক এবং এই নেটওয়ার্কের কথিত পৃষ্ঠপোষকদের সন্ধান বের করা সম্ভব হয়। একই অভিযোগে আগামী নভেম্বর মাসে রোমানিয়ান নাগরিক সিলভিউ সিপ্রিয়ান এবং গ্রেট ব্রিটেনে অবস্থানরত জনৈক হোজ্জাত এনকে ফ্রান্সের আদালতে হাজির করার কথা হয়েছে।
মানবপাচারকারী এ নেটওয়ার্কের অন্য বিশ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সর্বোচ্চ ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৯ জনকে স্থায়ীভাবে ফরাসি অঞ্চলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। স্থানীয় দৈনিক লা চোয়া দ্যু নর্দের মতে, সব মিলিয়ে সব আসামিদের হেফাজতে থাকা এবং দণ্ডপ্রাপ্ত বছরের সংখ্যা প্রায় ৭১ বছর।