ক্রিসমাসে ওমিক্রন দ্রুত ছড়ানোর আশঙ্কা ফাউসির

ক্রিসমাস উৎসবে ঘোরাঘুরিতে ‘ওমিক্রন’ ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ অতি দ্রুত ছড়াবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং হোয়াইট হাউজের করোনা টাস্কফোর্সের অন্যতম সদস্য ডা. অ্যান্থনি ফাউসি। এই পরিস্তিতিতে পূর্ণ ডোজ টিকা নেওয়া ব্যক্তিরাও এই ধরনে সংক্রমিত হতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সময় রোববার এনবিসি আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ফাউসি।
মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছেই।

এই ধরন শনাক্তের পর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে আবারও সংক্রমণ বেড়েছে। যুক্তরাজ্যে প্রতিদিনই সংক্রমণের রেকর্ড হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রেও সপ্তাহজুড়ে দৈনিক সংক্রমণ দেড় লাখ ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

হোয়াইট হাউজের করোনা টাস্কফোর্সের অন্যতম সদস্য ফাউসি জোর দিয়ে বলেছেন, “ওমিক্রন দ্রুত ছড়ায় এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এটি এখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। আসন্ন ক্রিসমাসে ভ্রমণ বাড়বে। ফলে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।”

অ্যান্থনি ফাউসি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রেও ওমিক্রনের দ্রুত বিস্তার ঘটছে, যা বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যসেবার ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। হাসপাতালগুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে, তাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতিও নেই। ফলে সংক্রমণ বাড়লে খুব চাপের মধ্যে পড়তে হবে তাদের।”

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, বিশেষ করে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার ওপর আবারও জোর দেন তিনি। একই সঙ্গে মার্কিনিদের সবার টিকাগ্রহণ নিশ্চিত এবং বুস্টার ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানান।

ডা. ফাউসি বলেন, “পূর্ণ ডোজ ও বুস্টার ডোজ নেওয়া এবং টিকার কোনো ডোজই না নেওয়াদের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। টিকা নেওয়াদের মধ্যে ঝুঁকির তীব্রতার পার্থক্য স্পষ্ট। যারা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন, তারা অনেকটা সুরক্ষিত।”

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেন্টশনের (সিডিসি) তথ্যমতে, বর্তমানে ৭৩ শতাংশ মার্কিনি পূর্ণ ডোজ টিকাগ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ আবার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।

সিডিসির সর্বশেষ তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৩ শতাংশের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে, যার অধিকাংশই নিউইয়র্কে।

মহামারি শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৫ কোটি ১৭ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ লাখ ২৭ হাজারের বেশি মানুষ। সূত্র: বিবিসি

বৈশাখী নিউজ/ এপি