সরকার দেশেও ডিজেলের দাম সমন্বয় করবে: অর্থমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমায় সরকার দেশেও দাম সমন্বয় করবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার সকালে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে এ কথা জানান তিনি।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কামায় দেশের বাজারেও সরকার তা যথাসময় সমন্বয় করবে। এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে। এটা আমাদের পর্যায়ে এলে আপনাদের অবহিত করতে পারবো।
আমার বিশ্বাস যখন যেটা করা দরকার সরকার অবশ্যই সেটি করবে। আপনারা জানেন জ্বালানি তেলের দাম কতটা ঊর্ধ্বমুখী ছিল, এখন আমরা নিম্নমুখী দেখতে পাচ্ছি। আমার বিশ্বাস সরকার সেটি বিবেচনা করবে। এটার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় মূল্যের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, খোলা বাজারের সঙ্গে তুলনায় অফিসিয়াল রেট খুব বেশি বৃদ্ধির শঙ্কা নেই। আমাদের কিছু পার্থক্য আছে, সেটি আমরা স্বীকার করি। যখন আমরা বাইরে থেকে মালামাল ক্রয় করি, রেটের কারণে সেই মালামালের দামটা বাড়ে।
আমাদের যেহেতু রপ্তানি বাড়ছে, আমদানিও বাড়ছে। আমদানির জন্য সেখানে ফিন্যান্সিং করা লাগে। তাই মার্কেট ওঠা-নামা করবেই। সেটা অনেক বেশি ওঠা-নামা দেখতে পারবো না। আমাদের এখানে রেট বেশি বাড়ার সম্ভবনা নেই।
সভায় দেশের জ্বালানি তেলের চাহিদা মেটাতে ১৫ লাখ ৮০ হাজার টন পরিশোধিত তেল আমদানি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। আলাদা দুটি প্রস্তাবে কেনা জ্বালানি তেলে জন্য ব্যয় হবে ৮ হাজার ৪শ’ ১৭ কোটি টাকা। ক্রয় প্রস্তাব অনুযায়ী ভারত, থাইল্যান্ড, আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার ও চীনের ৬টি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারের কেনা ডিজেলের দাম ধরা পড়বে প্রতিলিটার ৪৮ টাকা ৫০ পয়সা।
এছাড়া ক্রয় কমিটির সভায় ১৩টি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১০ হাজার ৭শ’ ৯৪ কোটি টাকা। এরমধ্য থেকে সরকারি কোষাগার থেকে আসবে ৯ হাজার ৫শ’ ৮৯ কোটি টাকা আর ভারতীয় ঋণ সহায়তা থেকে ব্যয় হবে ১ হাজার ২শ’ ৫ কোটি টাকা।