বিএসএমএমইউতে বিশ্ব কণ্ঠ দিবস পালিত
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বিশ্ব কণ্ঠ দিবস-২০২২ দিবস পালিত হয়েছে।
শনিবার (১৬ এপ্রিল ২০২২খ্রিঃ) সকাল ১০ টায় দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন বি ব্লকের সামনে শোভাযাত্রা ও শহীদ ডা. মিলন হলে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে নাক কান গলা বিভাগ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ’র সাবেক উপাচার্য ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত ।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, সাগর রুনির হত্যাকাণ্ডের সময় যদি অপরাধীর কণ্ঠ রেকর্ড করা থাকতো তবে তদন্তকারীর কাজ ৮০% হয়ে যেত। যেমন একজন বাচ্চার ভয়েস কখনো এডাল্টের মতো না। একজন যুবক ছেলে ও একজন যুবতী মেয়ের ভয়েস এক রকম না। একজন দাদি ও একজন দাদুর ভয়েস এক রকম না। অর্থাৎ কারো ভয়েস কারো মত না।
তিনি বলেন, প্রতিটি দিবসের কাজ হলো সচেতন করা। প্রথমে পেশাজীবীদের সচেতন করা।
মোবাইলে যত কম কথা বলা যায় ততই ভাল জানিয়ে তিনি আরও বলেন, অনুষ্ঠানে বিশ মিনিটের বেশী বক্তৃতা করা ভাল না। মোবাইলে ত্রিশ সেকেন্ডের বেশী কথা বলা ঠিক না। রাতে ঘুমানোর আড়াই ঘণ্টা আগে খেতে হবে। সকালে ও রাতে গরম পানি খেলে গলা ভাল থাকে। কোন ৪০ বছর বয়সের ব্যক্তি যদি ১৫ দিনের বেশী গলা ভেঙ্গে থাকে তাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
অনুষ্ঠানেরর সভাপতির বক্তব্যে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, খালি পেটে গরম পানি খেলে গলা পরিস্কার হলেও চোখের গ্লুকোমা হতে পারে। কিছু খেয়ে গরম পানি খাওয়া উচিত। আমরা ঠা-া পানি, এলকোহল খাবো না। মানুষ যেন ঠিকমত কণ্ঠের ব্যবহারে আরো যত্মশীল হয়। একটানা বিশ মিনিটের বেশী কথা বলা উচিত না। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের একটানা বেশী জোড়ে কথা না বলে আস্তে আস্তে কথা বলা উচিত। কণ্ঠের যেকোন ধরণের সমস্যার সুচিকিৎসা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। কণ্ঠের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে যত ধরণের যন্ত্রপাতির প্রয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন তার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, নাক কান গলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আজাহারুল ইসলাম, কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট প্রকল্পের পরিচালক ও সিন্ডিকেট মেম্বার অধ্যাপক ডা. এইচএম জহুরুল হক সাচ্চু, অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার, আবৃত্তি শিল্পী অধ্যাপক ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।