দুর্নীতির মামলায় অং সান সু চিকে পাঁচ বছর কারাদন্ডের রায় দিয়েছে আদালত
মিয়ানমারে দুর্নীতির মামলায় নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চিকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জান্তা সরকারের বিশেষ আদালত এ রায় দিয়েছে। এ নিয়ে মোট ১১ বছরের সাজা হলো মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুৎ এই নেত্রীর।
রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৭৬ বছর বয়সি অং সান সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির ১১টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
সামরিক সরকারের আনা মামলাগুলোর প্রথমটির সাজার রায় দেওয়া হয়েছে আজ বুধবার। এখনো বিচারাধীন রয়েছে আরো ১০টি মামলা।
নোবেল বিজয়ী এই নেত্রীকে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার আগে পাঁচ বছর ধরে মিয়ানমারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
সু চির বিরুদ্ধে অন্তত ১৮টি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। সেসব মামলায় দোষী প্রমাণ হলে প্রায় ১৯০ বছরের সর্বোচ্চ কারাদণ্ড হতে পারে তার। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সবগুলো অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন সু চি।
আজ বুধবার মামলার রায় ঘোষণা করা হলেও এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আদালতের বাইরে প্রকাশের ওপর বিধিনিষেধ জারি করেছে দেশটির সামরিক সরকার। সু চির আইনজীবিদেরও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইয়াঙ্গুনের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফিও মিন থেইনের কাছ থেকে ছয় লাখ ডলার এবং ১১.৪ কিলোগ্রাম স্বর্ণ ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় বুধবার সু চিকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হলো।
সূত্র: সিএনএন, রয়টার্স।