এই বাচ্চাগুলো আমাকে অনেক বড় শিক্ষা দিলো : অভিনেতা সজল
পাশাপাশি হুইল চেয়ার বসে আছে কয়েকজন শিশু। তাদের সামনে রাখা প্লেটে রয়েছে কয়েক পদের ইফতারি। এসব শিশুদের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। কিন্তু মুখে লেগে আছে আনন্দের হাসি। নিষ্পাপ এসব শিশুদের সঙ্গে কথা বলছেন অভিনেতা আব্দুন নূর সজল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
এ বিষয়ে আব্দুন নূর সজল বলেন—‘‘স্কুলের বড় ভাইয়ের আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম সাভারের সিআরপিতে, সেখানকার ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে ইফতার করতে। এই বড় ভাই আবার আমার বোনের ক্লাসমেটও ছিলেন। জীবনে বড় ঝড় এলে তা কীভাবে সুন্দর একটি হাসি দিয়ে সামলে ফেলা যায়, তা আমি শিখেছি এই বড় ভাইয়ের কাছ থেকে। ভাইয়ের নামও ‘সজল’।’’
মুগ্ধতা প্রকাশ করে সজল বলেন, ‘সাভারে যেতে সময়টা বেশি লাগলেও ভ্রমণের ক্লান্তি নিমিষেই দূর হয়ে গিয়েছিল সিআরপির বাচ্চাদের দেখে। এমন না যে বাচ্চারা সবাই আমাকে চেনে, বেশিরভাগই হয়তো চেনে না। তবে এরপরেও যেভাবে আমাকে হাসিমুখে বরণ করে নিলো, তাতে আমি মুগ্ধ।’
মানুষকে অল্পতে খুশি করা যায়, তা পুনরায় মনে করিয়ে দিয়েছে সিআরপির শিশুরা। বিষয়টি উল্লেখ করে সজল বলেন, ‘তাড়াহুড়া করে যাওয়ার কারণে ওদের জন্য কিছু খেলনা বাদে আর কিছু নিয়ে যেতে পারিনি। অথচ সেগুলো পেয়েই ওরা খুশি হয়ে গেল। এত অল্পতে মানুষকে খুশি করা যায়, তা যেন ভুলেই গিয়েছিলাম। এদের অনেকেই আর হয়তো কখনো খেলতে পারবে না, হাঁটতে পারবে না, দৌঁড়াতে পারবে না। কিন্তু এরপরেও এরা জীবনের প্রতি আশা হারিয়ে ফেলেনি। জীবনকে আলিঙ্গন করা ভুলে যায়নি।’
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে সজল বলেন, ‘কী পাইনি-এটা ভেবে জীবনকে অসহনীয় বানানোর চাইতে যা আছে তাই নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা কি উচিত না আমাদের? এই বাচ্চাগুলো আমাকে অনেক বড় শিক্ষা দিলো। মনে থাকবে অনেকদিন।’
সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাজ্যের ভ্যালোরি অ্যা টেইলর। একজন বিদেশি হয়েও বাংলাদেশে সিআরপির মতো একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তা সুন্দরভাবে চালিয়ে যাওয়ার কথা স্মরণ করে ধন্যবাদ জানান সজল