অধিকার আদায়ের দাবিতে প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের সমাবেশ

মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে র‌্যালি ও সমাবেশ করেছে বিড়ি শ্রমিকরা।

আজ বুধবার সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এমকে বাঙ্গালী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালি শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিড়ি শ্রমিকদের মুজুরি বৃদ্ধি,বিড়ি কারখানাগুলোতে সপ্তাহে ৬ দিন কাজের ব্যবস্থা, বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিড়িতে বিদ্যমান শুল্ক কমানো এবং বিড়ির উপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহারের দাবি জানান শ্রমিকরা।

ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি এমকে বাঙালী। বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি লোকমান হাকিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য লুৎফর রহমান প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের ইতিহাস আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় আজও শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন ও সংগ্রাম চলছে। শ্রমিকেরাই এদেশের প্রাণশক্তি, শ্রমিকদের ঘামে গড়ে ওঠে অর্থনৈতিক ভিত। কিন্তু দেখা যায়, সকল সংকটে শ্রমিকেরাই থাকে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ও বঞ্চিত, যা অত্যন্ত দু:খজনক। অসহায় খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে বেগবাদ করতে মহান মে দিবসের চেতনায় সকলকে উদ্বুদ্ধ থাকতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্পে দেশের লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। অথচ বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর ষড়যন্ত্রে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন এ শিল্পটি ধ্বংস করা হচ্ছে। তারা এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাঁচার করছে। এছাড়াও বিদেশী সিগারেট কোম্পানীগুলোকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দিতে কতিপয় অসাধু আমলা বিড়ির উপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। বিড়ি মালিকরা এই মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে বিড়ি কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকরা কর্ম হারিয়ে অনাহারে, অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে আমরা দেশের এই লক্ষ লক্ষ বিড়ি শ্রমিকদের জীবন জীবিকার অবলম্বন বিড়ি শিল্পকে রক্ষার জোর দাবি জানাচ্ছি।