বেকারিপণ্যের দাম ২০ শতাংশ বাড়ছে

হস্তচালিত (নন ব্র্যান্ড) বেকারি পণ্যের আজ (বুধবার) থেকে ২০ শতাংশ দাম বাড়ানো হচ্ছে।

এর আগে মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রুটি, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন।

জালাল উদ্দিন বলেন, দাম বাড়ানোর দাবি অনেক দিনের। তাই বুধবার থেকে ২০ শতাংশ দাম বাড়ানো হচ্ছে। এরই মধ্যে স্বয়ংক্রিয় মেশিনে তৈরি ব্র্যান্ডের বেকারিগুলো তাদের পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। সেজন্য হস্তচালিত বেকারিগুলোও দাম বাড়ানোর দাবি করে আসছিলো।

সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সর্বশেষ জানুয়ারি মাসে হস্তচালিত বেকারি পণ্যের দাম ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিলো।

হস্তচালিত বেকারি দেশের গ্রামগঞ্জে, উপজেলা, জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সড়কের পাশে ছোট ছোট দোকানে পাউরুটি, বনরুটি, কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন ধরনের কনফেকশনারি পণ্য বিক্রি করে। এসব পণ্যের ভোক্তা হচ্ছেন দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, সবজি বিক্রেতাসহ সমাজের নানা শ্রেণি ও পেশার লোক। ফলে দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে তাদের ওপর চাপ বাড়বে।

অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দাম সমন্বয়ের জন্য মঙ্গলবার থেকে হুট করেই হস্তচালিত বেকারি মালিকরা অঘোষিত ধর্মঘটে যায়। এ কারণে মঙ্গলবার রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় বেকারি পণ্যের সরবরাহ বন্ধ ছিলো। গত সোমবার তাদের সরবরাহকারী বেকারি থেকে জানানো হয়, কয়েকদিন কোনো বেকারি পণ্য সরবরাহ করা হবে না।

তবে হস্তচালিত বেকারি সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সারাদেশের অধিকাংশ বেকারিকে চিঠির মাধ্যমে দাম বাড়ানোর বিষয় জানানো হয়েছে। ফলে এ ধর্মঘট উঠে যাচ্ছে বুধবার থেকে।

বেকারি মালিকরা বলছেন, বেকারিতে যেসব কাঁচামাল লাগে তার মধ্যে প্রায় সবকিছুর দাম বেড়েছে। তেল, ডালডা, আটা-ময়দা ছাড়াও যেমন চিনি, দুধ ও ডিমের দামও বাড়তি। এরই মধ্যে লোকসান পোষাতে না পেরে অনেক বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে।

তারা বলছেন, বড় বড় কোম্পানির বেকারিগুলো, যা অটো ও সেমি-আটো মেশিনে স্বয়ংক্রিয় মেশিনে পণ্য বানায় তারা এ হস্তচালিত বেকারি মালিকদের সংগঠনের সদস্য নয়। ওইসব কোম্পানি এরই মধ্যে তাদের পণ্যের দাম বাড়িয়েছে।

বৈশাখী নিউজ/ এপি