অপচয়ের কারণে ঢাকায় অতিরিক্ত লোডশেডিং

আপডেট: July 21, 2022 |

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে যতটুকু লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তা এক ঘণ্টার লোডশেডিংয়েই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু গ্রাহকদের অপচয় বন্ধ না হওয়ায় সাশ্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে অতিরিক্ত লোডশেডিং করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো।

গত মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে শুরু হয় লোডশেডিং। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) ও ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) প্রতিদিন এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টা করে শিডিউল প্রকাশ করে। তবে শিডিউলের বাইরেও অতিরিক্ত লোডশেডিং হতে দেখা যায় রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় দুদিন ধরেই এক ঘণ্টার অতিরিক্ত লোডশেডিং হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রথম দিন সন্ধ্যায় এক ঘণ্টা লোডশেডিং হলেও দুপুরে ও রাতে বাড়তি লোডশেডিং হয় এ এলাকায়।

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, খিলগাঁও, মুগদা, হাতিরপুলসহ আরও কয়েকটি এলাকায় খোঁজ নিয়েও এক ঘণ্টার অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া যায়।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান বলেন, আমরা চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ প্রায় ১৪০-১৫০ মেগাওয়াট কম পাচ্ছি। এক ঘণ্টা লোডশেডিং করার পরও বিদ্যুতের ঘাটতি থাকার কারণে আমাদের অতিরিক্ত লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, এক ঘণ্টা লোডশেডিং করার পর আমাদের দরকার প্রায় ১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কিন্তু এখন সরবরাহ করা হচ্ছে ১ হাজার ৫৫০ মেগাওয়াটের মতো। প্রতিদিন ১৫০ মেগাওয়াট কম পাচ্ছি। যে কারণে আরও অতিরিক্ত লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

চাহিদা ও বিতরণের সঙ্গে সমন্বয় কেন হচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সাশ্রয় যে লক্ষ্যমাত্রা, তাতে এক ঘণ্টার লোডশেডিংয়েই হয়ে যেতো। কিন্তু আমরা যতটুকু বিদ্যুৎ পাচ্ছি, তাতে এক ঘণ্টার লোডশেডিংয়ে বিতরণ পূর্ণ হচ্ছে না। অতিরিক্ত লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

বিদ্যুৎ অপচয়ের কারণেই এমনটি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসলে যতটুকু চাহিদা তৈরি হচ্ছে, সেটা প্রকৃত চাহিদা নয়। গ্রাহকরা বিদ্যুৎ অপচয় করছে বলে চাহিদাও বেশি হচ্ছে। যদি অপচয় না হতো, তবে যতটুকু সরবরাহ, ততটুকুতেই হয়ে যেতো।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর