প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশে শক্তিশালী অর্থনীতি রয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে বেরিয়ে এসেছে। ২০১৫ সালে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী অর্থনীতি রয়েছে।
শুক্রবার ভারতের উত্তর প্রদেশের বেনারসে ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত মাল্টিমোডাল ওয়াটার সামিট-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা গত এক দশকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পদ্মাসেতু, রেল সংযোগ, পায়রা সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, কর্ণফুলী টানেল, বঙ্গবন্ধু রেলসেতু প্রকল্প, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩সহ অনেক মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প থেকে শুধু বাংলাদেশই লাভবান হবে না, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া উপকৃত হবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংযোগ প্রকল্প-১ গ্রহণ করেছি। যার মাধ্যমে সাব-রিজিওনে নির্বিঘ্নে যোগাযোগ করতে পারব। সেই লক্ষ্যে ট্রান্স-শিপমেন্ট, ট্রানজিট এবং সব ধরনের পণ্য ও কার্গোর আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য শুরু করেছি।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালে প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেডের অধীনে বাংলাদেশ-ভারত নৌপথে বাণিজ্য শুরু হয়েছিল। পিআইডব্লিউটিটি’র অধীন ১০টি রুট চালু রয়েছে, যার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য সমৃদ্ধ হয়। ভবিষ্যতে বাণিজ্য বাড়াতে নদীপথগুলোকে আরো কাজে লাগানোর চেষ্টা চলছে। আমাদের দেশে অধিকাংশ এলাকায় রেলপথ রয়েছে। ভারতে বিশ্বের দীর্ঘতম রেলপথ রয়েছে। আমরা সব উৎস থেকে বেনিফিট পেতে চাই। সেজন্য দক্ষ ও টেকসই যোগাযোগের পথ প্রশস্ত করতে হবে।
এ সামিটে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।
