‘পার্বত্য স্থানীয়দের বেকারত্ব ঘোচাবে পর্যটন শিল্প’

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, অপার সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি পার্বত্য অঞ্চল। বান্দরবান ইতোমধ্যে পর্যটকদের কাছে এক আকর্ষণীয় নগরী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

তিনি বলেন, পর্যটন শহর বান্দরবানকে সাজাতে নতুনভাবে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এবং দর্শনীয় স্থানগুলোকে আরো আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পার্বত্য অঞ্চলের স্থানীয়দের বেকারত্ব ঘোচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে পর্যটন শিল্প।

আজ (রবিবার) বান্দরবান জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি এর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে পাবনা জেলা পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, বান্দরবান সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষ্মীপদ দাস ও বান্দরবান জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পর্যটন ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আরও বলেন, পর্যটন নগরী বান্দরবানে পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণ করতে পারে সেই জন্য মহাসড়কসহ আভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর উন্নয়ন কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নৈতিক কাজ হলো দেশের সার্বিক উন্নয়ন করা। সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় একদিন পার্বত্য এলাকার পর্যটন ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য দেখা দিবে। তিনি বলেন, আগামীতে পর্যটনখাত আরো সমৃদ্ধ হবে। এগিয়ে যাবে বান্দরবান, আর বান্দরবানের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটবে। মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য কাজ করেছেন আর তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পিতার আর্দশে বাংলাদেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দেশের সার্বিক উন্নয়নে সকল ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে সভায় আলোচনা হয়। সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয় দেশে ১৫ হাজার ম্যালেরিয়া রোগী সনাক্ত হয়েছে যার মধ্যে বান্দরবানেই সনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১২ হাজার। সভায় স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়টি খুব গুরুত্ব পায়। এছাড়া সভায় পর্যটন শিল্পের আধুনিকায়ন ও এর সম্প্রসারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।