ইবিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদের আত্মপ্রকাশ

আপডেট: January 15, 2023 |

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দের সমন্বয়ে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদের নতুন কমিটি প্রকাশ হয়েছে। এতে সভাপতি পদে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহা এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুলকে মনোনীত করা হয়েছে।

রবিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলার সভাকক্ষে নবগঠিত কমিটির অনুমোদন দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম। এর আগে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নবগঠিত সদস্যদের উপস্থিতিতে শোভাযাত্রা বের হয়।

এসময় শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মৃত্যেঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে সমবেত হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব মুর‌্যালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন শেষে নবগঠিত নেতৃবৃন্দরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালামের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাত করেন এবং সাংবাদিকদের কাছে নিজেদের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

কমিটিতে মনোনীত অন্য সদস্যরা হলেন, সহসভাপতি অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন আজাদ, অধ্যাপক ড. শেখ মহা. রেজাউল করিম, অধ্যাপক ডঃ দেবাশীষ শর্মা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডঃ মাহবুব বিন শাহজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডঃ সঞ্জয় কুমার সরকার, দপ্তর সম্পাদক জয়শ্রী সেন, অর্থ সম্পাদক ড. সুতাপ কুমার ঘোষ, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক শিরিনা খাতুন বিথী, নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক শামীমা নাসরিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ডঃ শিবলি মো. ফতেহ আলী চৌধুরী, তরুণ প্রজন্ম বিষয়ক সম্পাদক মিথুন বৈরাগী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. মাজেদুল হক, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডঃ মো. আনিচুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক খালিদ হোসেন জুয়েল, আইন বিষয়ক সম্পাদক বিলাসী সাহা, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. ফিরোজ খান, প্রচার প্রকাশনা ও গণমাধ্যম সম্পাদক রায়হান উদ্দিন ফকির, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড ধনঞ্জয় কুমার, শিক্ষা ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. রোজী আহমেদ প্রমুখ। এছাড়াও সদস্য পদে অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর সাদাতসহ আরও ১৪ জনকে মনোনীত করা হয়েছে।

নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দরা উপাচার্য ড. শেখ আবদুস সালামের সৌজন্যে সাক্ষাতের সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর যেসব প্রতিবন্ধকতাগুলো এসেছে সেগুলো প্রতিরোধ করেছে সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ব্যাক্তিরাই।

রাজনীতিবিদরা অনেক সময় আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যায়। নিজের পক্ষ ত্যাগ করে অন্য পক্ষে চলে যায়। কিন্তু এই সোসাইটিতে আমার আপনার সত্যের উপর দাড়িয়ে যে পরিচিতি আমরা বাঙ্গালী, অসাম্প্রদায়িক, আমরা গণতন্ত্রমনষ্ক এই গুনগুলাকে এগিয়ে নিয়ে যায় সাংস্কৃতিক প্লাটফর্মের লোক গুলোই। আর বাংলাদেশ মানেই হচ্ছে সাংস্কৃতিক আন্দোলন, সাহিত্যের আন্দোলন।

ভাষা আন্দোলন ছিল একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন। এই আন্দোলনের পিছনে বঙ্গবন্ধুর ও অনেক অবদান ছিল। সে আন্দোলনের শেষ থেকে শুরু করে একেবারে গাছ লাগিয়ে দেওয়া এবং সে গাছের ফল পাড়িয়ে দেওয়া এবং স্বাধীনতার পরেও বঙ্গবন্ধু আমাদের যা কিছু দিয়েছেন তা অনস্বীকার্য।

এই পরিষদের নামও যেহেতু বঙ্গবন্ধু নামে তাই আমি আশা করি এর কার্যক্রম ও সাংস্কৃতিক এবং বায়ান্নবিধ সংস্কৃতি হবে এবং সুদ্ধতার দিকে এগিয়ে যাবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর