কালীগঞ্জে ট্রাক্টর ও ট্রলি থেকে মাটি পড়ে একই স্থানে ১৪ দূর্ঘটনা
টিপু সুলতান,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:কুয়াশা ও বৈরি আবহাওয়ার কারনে কালীগঞ্জ. যশোর ঝিনাইদহ, ও কোটচাদপুর মহাসড়ক যেন মৃত্যুপুরিতে পরিনত হয়েছে।
মহাসড়কের পাশাপাশি গামের রাস্তা ঘাটে মাটি টানা গাড়ি, ট্রলিতে মাটি পরিবহনের সময় সড়কে অল্পস্বল্প মাটি পড়ে। ঘন কুয়াশা পড়ে ঐ মাটি ভিজে পিচ্ছিল হয়ে ঘটছে ছোটো বড় দুর্ঘটনা। এ কারণে প্রতিদিনই মহাসড়ক কিংবা গ্রামের কোথাও না কোথাও ঘটছে দুর্ঘটনা। অনেক দুর্ঘটনায় প্রানহানী ও ঘটছে। আবার অনেকে আহত হয়ে করছেন পঙ্গুত্ববরন। প্রশাসনের নাকের ডোগায় অনিবন্ধিত এইসব মাটিটানা গাড়ি মহাসড়কে নিয়মিত দাপিয়ে বেড়ালেও গুরুত্বের সাথে নেওয়া হচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ। একদিনে একইস্থানে ১৪টি দূর্ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে দিশারি কাঠগোলা সংলগ্ন বাকুলিয়া মাঠ থেকে অবৈধ মাটি কাটা গাড়ি ও ট্রলিতে মাটি আনা নেওয়া শুরু করে। ভোর ৫টা থেকে ঐ মাটিতে করে পড়ে প্রায় ১৪ টি মটর সাইকেল দূর্ঘটনার স্বীকার হয়।
এ সময় কালীগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কতিপয় সদস্য ও স্থানীয়দের রাস্তায় বালি ও লাল পতাকা দিয়ে দূর্ঘটনা রোধে কাজ করতে দেখা যায়। দুর্ঘটনায় আহত মোটর সাইকেল আরোহী সাব্বির হোসেন জানান, রাস্তায় ভেজা মাটিতে বাইকের চাকা পিছলে পড়ে গেছি। আল্পের জন্য প্রানে বেচে গেছি। যেসকল গাড়ি মাটি ফেলে মহাসড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ঐসব গাড়ির বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যাবস্থা গ্রহন করা উচিত বলে আমি মনে করি।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুবেল হোসেন বলেন,পৌরসভার মধ্যে আমার এলাকার কর্দমাক্ত রাস্তা মেয়র মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে পরিষ্কারের ব্যবস্থা করব ।
বারোবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম জানান,মহাসড়কে অবৈধ মাটি টানা সব ধরনের যানের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে।আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
জনস্বার্থে অতি গুরুত্বপূর্ন এ বিষয়টিকে সামনে নিয়ে জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের দায়িত্বরত ব্যক্তিবর্গ সড়ককে চলাচলের জন্য নিরাপদ করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করবেন এমনটি প্রত্যাশা করেন সকলে।