ইন্দুরকানীতে নিজের জমিতে ঘর তুলতে গিয়ে চাচার রোষানলে ভাতিজা

আপডেট: January 21, 2023 |
মো: কামরুজ্জামান শাওন, ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: নিজের জমিতে ঘর তুলতে গিয়ে আপন চাচার রোষানলে পড়েছেন ভাতিজা সবুজ গাজী। টিন ও কাঠ দিয়ে ঘরটির কাঠামো নির্মাণ করা শুরু হলে চাচা রহিম গাজী প্রথমে থানায় অভিযোগ দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয় এবং পরে রাতের আধারে লোকজন নিয়ে ভাতিজার নির্মাণাধীন ঘরটি ভেঙ্গে ফেলে দেয়। আর এ ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দুরকানী উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের ১ নং পূর্ব-বলেশ্বর গ্রামে। নিজের জমির দখল বুঝে নিতে দিনের পর দিন থানা পুলিশ সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সবুজ গাজী।
সবুজ গাজী তার অভিযোগে সাংবাদিকদের জানান, গত ১৩ই জানুয়ারি নিজ বাড়ির সামনে সড়ক ও জনপথ সড়কের পাশে একটি বাগানবাড়িতে ঘর তুলতে যান তিনি। এ সময় তার চাচা রহিম গাজী ইন্দুরকানি থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ সরেজমিনে এসে ঘরের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। কাঠ ও টিন দিয়ে ঘরের কাঠামো তৈরি করা ঘরটি তার চাচা রহিম গাজী ঐদিন গভীর রাতে লোকজন নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে দেয় এবং ঘরের কিছু কাঠ ও টিন ওই রাতেই লুটপাট করে নিয়ে যান। পরের দিন ১৪ই জানুয়ারি সকালে এ অবস্থা দেখে তিনি বিষয়টি স্থানীয় থানা পুলিশকে অবহিত করেন।

সবুজ গাজী আরো জানান, ১৯৮৩ সালে দাদীর কাছ থেকে তারা দুই ভাই ৫৮৮ দাগে আট শতক করে ১৬ শতক জমি পেয়েছেন। এর মধ্যে তার বড় ভাইর অংশটুকু স্থানীয় আলী হোসেন গাজীর কাছে বিক্রি করেন। তার নিজের নামের ঐ জমির দলিল ও বিএস রেকর্ডও রয়েছে তার নামে। তিনি ফেনীতে একটি হোটেলে কর্মচারী হিসেবে চাকরি করেন। একারনে বাড়িতে সব সময় থাকা হয় না তার। আর এই সুযোগে তার চাচা অনেক বছর ধরে ওই জমি ভোগ দখল করে আসছেন।

অপরদিকে চাচা রহিম গাজী ভাতিজার এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঐ জমি নিয়ে আদালতে বর্তমানে মামলা চলছে। বিরোধপূর্ণ জমিতে তার ভাতিজা লোকজন নিয়ে ঘর তোলার চেষ্টা করেছিল। ওই জমির প্রকৃত মালিক নিজের বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে আদালতে মামলা চলমান থাকায় এবং থানায় এ বিষয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ দেয়ায় উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে জমি সংক্রান্ত এই বিরোধ শালীস বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসার আশ্বাস দেন থানার ওসি মো: এনামুল হক।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর