মেস ছাড়াকে কেন্দ্র করে হেনস্তার শিকার কুবি শিক্ষার্থী

এমদাদুল হক, কুবি প্রতিনিধি: মেস ছাড়াকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলেন মেস মালিকের ছেলে৷ একই সময় এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে আরেক শিক্ষার্থীকেও আক্রমণাত্মকভাবে হেনস্তা করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাছে এর ইব্রাহিম খাঁনের মেসে এই ঘটনা ঘটে৷

ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থী মো. মোশারফ হোসেন। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ব্যাচের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মেসের মালিক ইব্রাহিম খাঁর ছোট ছেলে আবু সুফিয়ান ঐ মেস বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় বসবাসকারী মোশারফকে তার রুমের ওয়াশরুম পরিষ্কার করে রাখতে বলে৷ মোশারফ আগামীকাল (বুধবার) পরীক্ষার পর পরিষ্কার করে রাখবে বললে সুফিয়ান উত্তেজিত হয়ে প্রথমে গায়ে ধাক্কা ও পরে লাথি দেয়৷ এতে ঐ মেসের বসবাসকারী অন্যান্য শিক্ষার্থীও সেখানে জড়ো হয়। এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেনের সাথেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন সুফিয়ান৷

ভুক্তভোগী মো. মোশারফ হোসেন বলেন, আঙ্কেল আমাকে এসে বলেন যে আমার রুমের বাথরুম পরিষ্কার করতে৷ আগামীকাল পরীক্ষা শেষ করে এসে এই বিষয়ে কথা বলবো বললে উনি আমাকে বলেন আজকেই পরিষ্কার করতে, প্রয়োজনে আমাকে হারপিক এনে দিবেন৷ আমি উনাকে বলি যা বলার কাল পরীক্ষার পর এসে বলবো৷

এর মাঝেই তার ছোট ছেলে সুফিয়ান আমাকে এসে ধাক্কা দেয়৷ এক পর্যায়ে আমাকে লাথি দিয়ে বিছানায় ফেলে দেয় সে৷

প্রথমে ধাক্কা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে অভিযুক্ত আবু সুফিয়ান বলেন, সে আমাকে আর আব্বাকে উল্টাপাল্টা কথা বলতেছিলো৷ আমি ধাক্কা দেয়ার পর সেও আমার দিকে তেড়ে আসে ও বাজে কথা বলে।

এই বিষয়ে ঐ মেস বিল্ডিংয়ের মালিক ইব্রাহিম খাঁ জানান, আমার ছেলে অন্যায় করেছে সেই জন্য আমি স্যরি বলেছি, ওকে৷ আমার ছেলেকে দিয়েও স্যরি বলিয়েছি৷

তবে সেখানে বসবাসরত প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই মেস থেকে কোনো শিক্ষার্থী চলে যাওয়ার সময় নানা সমস্যা করেন মালিকপক্ষ৷ শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত কয়েক মাসের ভাড়া রাখা, শিক্ষার্থীদের ব্যবহার্য কোনো আসবাবপত্র যেমন সিলিং ফ্যানসহ অনেক জিনিস রেখে যেতে বাধ্য করা সহ আরো অনেক অভিযোগ এই মেসের মালিকপক্ষের বিষয়ে৷

এই বিষয়ে ইব্রাহিম খাঁ বলেন, এই শিক্ষার্থীরাও আমার ছেলের মতো৷ তাদের বিভিন্ন সময় অনেক ছাড় দেয়ার চেষ্টা করি৷ এখন যেহেতু কথা উঠেছেই এইসব বিষয়ে তাদের সাথে আমি কথা বলে সমাধান করার চেষ্টা করবো৷ আগামীকাল (বুধবার) সকলের সাথে বসে কথা বলবো৷