গুরুদাসপুরে উপজেলা চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে ট্যাব পেল প্রকৃত শিক্ষার্থী
ইমাম হাছাইন পিন্টু নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে সারা দেশের ন্যায় ২৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৭৪ টি ট্যাব মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
কিন্তু প্রতিটি স্কুলের মেধাবী শিক্ষার্থী সঠিকভাবে ট্যাব পেলেও কিছু স্কুলে অনিয়ম দেখা দেয়।
জানা যায় নাটোরের গুরুদাসপুর হাঁসমারী মডেল স্কুলে নবম ও দশম শ্রেণীর ছয় জন শিক্ষার্থীর নামে ট্যাব বরাদ্দ দেওয়া হয় কিন্তু ট্যাব বিতরর অনুষ্ঠানে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম এর স্বাক্ষরিত প্রত্যয়ানে যে সকল শিক্ষার্থীকে ট্যাব দেওয়া হয়েছে তাতে স্বজন প্রীতির অভিযোগ পাওয়া যায়।
উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস সূত্রে জানা যায় নবম শ্রেণীর রোল নম্বর এক দুই তিন ও দশম শ্রেণীর রোল নম্বর ১,২,৩ মোট ৬ জন শিক্ষার্থীকে ট্যাব দেবার কথা থাকলেও ৩, ৪, ৫ রোল নম্বর শিক্ষার্থীকে না দিয়ে ৬ রোল নাম্বার শিক্ষার্থীকে ট্যাব বিতরণ করা হয়েছে যা নিয়ম বহির্ভূত এবং স্বজনপ্রীতির বহিঃপ্রকাশ ।
বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের নজরে আসলে উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের সহায়তায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ডেকে মুসলিকা নিয়ে প্রকৃত শিক্ষার্থীর হাতে ট্যাব তুলে দেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকরা বলেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন আচরণ করা ঠিক হয়নি যাহা শিক্ষার্থীদের জন্য আফসোসের কারণ ভবিষ্যতে তাদের মনের উপরে বিরূপ প্রভাব ফেলবে তাই ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।
উল্লেখ্য গত ৬ই এপ্রিল স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিরমানে গুরুদাসপুর উপজেলা মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় ও গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে এই ট্যাব বিতরণ করেন