সংঘাত-সহিংসতা রুখতে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সংঘাত-সহিংসতা রুখতে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভোটের মাঠে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। ইতিপূর্বে মোতায়েন করা হয়েছে এক হাজার ১৬ প্লাটুন বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে আগে থেকেই মাঠ চষে বেড়াচ্ছে এলিট ফোর্স র্যাব, পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা। সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৬ লাখ সদস্য সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে কোনো মূল্যে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। নির্বাচনকে সামনে রেখে অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ, মাদক ও মানব পাচার ঠেকাতে সীমান্ত এলাকাগুলো রয়েছে বিশেষ নজরদারিতে।
নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নামায় ভোটারদের আস্থা বাড়বে বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের উদ্দেশ্যই হলো— ভোটারদের মনে আস্থা তৈরি করা। সেনাবাহিনী মোতায়েনের ফলে ভোটারদের মনে আস্থা বাড়বে। সংঘাত পরিহার করতে দলগুলোর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। সিইসি বলেন, এ সুযোগে আমি সব রাজনৈতিক দলের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করি— নির্বাচন যেন নির্বাচনের মতো হয়। সহিংসতা, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি, তর্ক-বিতর্ক, হাঙ্গামা পরিহার করে কেবল মাত্র নির্বাচনী প্রচারণার মাধ্যমে নির্বাচনে নিবদ্ধ থাকার জন্য অনুরোধ করি।
-বৈশাখী নিউজ/Boishakhi News