রাজাপুরে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে মানুষের অনিহা প্রকাশ

আপডেট: May 14, 2023 |

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এমন খবরে আতঙ্কিত হলেও আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনিহা প্রকাশ করছেন ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার নদীতীরের মানুষেরা।

ভিটেবাড়ি ও গবাদিপশু ছেড়ে যাবেন না বলে নিজ নিজ ঘরেই রয়েছেন এ অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ।

রাজাপুর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান খান বলেন, উপজেলার ১৬টি স্থায়ী সাইক্লোন শেল্টার খুলে দেয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১টি করে মেডিকেল টিম নামানো হয়েছে।

শনিবার রাতে সাড়ে ছয়’শোর অধিক মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাকী মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বাধ্য করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে আমরা বেশ কিছু গবাদিপশু নিরাপদে উঁচু স্থানে স্থানান্তর করেছি।

ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত বাড়ার কারণে রোববার (১৪মে) দিনের মধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার জন্য সব ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এবং স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও। তবে বাসিন্দাদের অনেকেই ঘর ছেড়ে যেতে চাইছেন না।

রাজাপুরের চর পালট গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব দিলরুবা বেগম বলেন, ‘ছেলে-মেয়েদের বলেছি তিন নাতিকে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে। আমি ছাগল-গরু নিয়ে বাড়িতেই থাকব। মারা গেলে স্বামীর ভিটাতেই মরব।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, স্বপ্নের আলো ফাউন্ডেশন সহ অনেক সংগঠন জন সচেতনতায় নিম্মাঞ্চলের মানুষের পাশে রয়েছে। অনেকে ব্যাক্তি উদ্দোগেও মাইকিং ও মোম-ম্যাচের কাঠি বিতরণ করেছে।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় বলেন, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ডিউটি অফিসার রয়েছে তারা প্রত্যেক ‘আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া মানুষদের বসতঘরের মালামাল যাতে লুণ্ঠিত না হয়, সেদিকে পুলিশ কড়া নজর রাখবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর