ভোট দিতে আগ্রহী তরুণরা

যে কোন দেশের মূল শক্তি তারুণ্য। নির্বাচনেও নতুন ভোটার বা তরুণ ভোটার সব সময় চালিকা শক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাই রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ইসতেহার প্রনয়ণে যেমন তরুণদের আর্কষণ করতে চায় তেমনি প্রার্থীরাও সবসময় চায় তরুণ ভোটারদের কাছে টানতে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তরুণরা বড় চালিকা শক্তি হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। এবার মোট ৪০ হাজার ১৮৩টি কেন্দ্রে ভোট দিবেন ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন ভোটার। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৫ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৩১২ জন।

তবে, দেশের প্রায় ২২ শতাংশ ভোটারের বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। এসব তরুণের বড় অংশ, প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ এবারই প্রথম ভোট দেবেন।

সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবারো তরুণ ভোটারদের ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিতে দেখা গেছে। রোববার সকাল ৮টায় রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় বালক শাখায় প্রায় পাঁচ শতাধিক ভোটার দেখা গেছে। অধিকাংশ ভোটারই তরুণ যারা জীবনের প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে এসেছেন।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র স্বপ্নীল বলেন, এটা আমার জীবনের প্রথম ভোট। এটা একধরনের অনুভূতি। আমি এ সুযোগ হারাতে চাইনি। তাই ভোট দিতে এলাম।

স্বপ্নীলের বন্ধু শিহাব। শিহাব বলেন, আমার মনে হচ্ছিল আমি ভোট না দেওয়া মানে নিজেকে বঞ্চিত করা। বঞ্চিত হতে চাইনি। তাই ভোট দিতে এসেছি।

ছাত্র বা চাকরিজীবীদের পাশাপাশি ভোট দিচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ। আদাবর এলাকায় লেগুনা চালক আবদুর রহিমের সঙ্গে কথা হয়। তিনিও জীবনে প্রথম ভোট দিতে এসেছেন। তিনি বলেন, আমি সাধারণ মানুষ হলেও ভোট দেওয়া আমার ক্ষমতা। তাই ভোট দিতে এলাম।

তরুণ ভোটারদের মধ্যে মেয়েদের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে। কলাবাগান প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় দিলশাদ ঝুমুর নামে একজন তরুণীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ভোটের দিন কি না কি হয়, কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে কি না- এসব নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু ভোট দিতে এসে ভালো লাগছে।