কুবি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে: কুবি উপাচার্য
এমদাদুল হক, কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী সংগঠন ফিজিক্স ক্লাবের সহযোগিতায় বিভাগের ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বরণ এবং ১১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় দুপুর সাড়ে তিনটায় পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়ার সভাপতিত্বে ও বিভাগের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী হুমায়রা শওকতের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়েছে।
প্রথমে কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠ, জাতীয় সংগীত এবং ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর উপস্থিত ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন।
বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড.খলিফা মোহাম্মদ হেলাল বলেন, ‘তোমরা স্কুল কলেজের পড়ালেখা শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নতুন শিক্ষা জীবনে পথ চলা শুরু করেছ।
নিজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক রেখে পরিশ্রম করে যাও। নিজের এবং বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ কর। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিদায় বলতে কোনো কিছু নেই।
তোমরা আজীবন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হয়ে থাকবে। দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে নিজের মেধা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে দিবে এটাই আমার প্রত্যাশা।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে এমন একটি জায়গা যেখানে তুমি ছাত্রের পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
কিন্তু পড়াশোনা শেষ করে, চাকরি জীবনে প্রবেশ করে, সেখান থেকে অবসর নিয়েও কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পর্ক শেষ করে দিতে পারবে না।
আজীবন তুমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ে থাকবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের একটি বিশেষত্ব রয়েছে।
এ বিভাগের শিক্ষকরা উচ্চ কোয়ালিটি সম্পন্ন গবেষণার জন্য ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। এ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সৃষ্টিশীলতা মহাবিশ্ব পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।
জিএসটি তালিকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পছন্দের প্রথম তালিকায় রয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুধু শিক্ষা দেওয়া নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ জ্ঞান তৈরী করা।
শেখার দায়িত্বটা ছাত্ররা যখন শিক্ষকের কাছ থেকে নেয় তখন সেটা কার্যকরী হয়। শিক্ষার কোনো নির্দিষ্ট গন্ডি নেই। ক্লাস রুমের বাইরেও চারপাশ থেকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।’
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: আবু তাহের, অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র মজুমদার, সহযোগী অধ্যাপক ড. মিঠুন কুমার দাস, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: খলিলুর রহমানসহ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, এ অনুষ্ঠানে ছিল দুই পর্ব। প্রথম পর্ব আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে দ্বিতীয় পর্ব হিসেবে সন্ধ্যার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষার্থীরা নাচ, গান কবিতা নিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন।
