আবাসিক ও জনবহুল এলাকার মধ্যে কেমিক্যাল গোডাউন থাকা উচিত নয় মন্তব্য করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, এগুলো সরানোর কাজ এখনই শুরু করা উচিত। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে তিনি একথা জানান।
এখন পর্যন্ত ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করে আইজিপি বলেন, যেহেতু এখানে কেমিক্যাল গোডাউন, প্রচুর রাসায়নিক পদার্থ ছিল। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এখন পুরো ভবন খুঁজে দেখা হচ্ছে আর কোনো মৃতদেহ রয়েছে কি না। আমরা মনে করছি, আরও কয়েকজনের মৃতদেহ থাকতে পারে। পুরো ভবনটি খুঁজে দেখার পর তা বোঝা যাবে।
জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, একদিকে তো সেখানে রাসায়নিক গুদাম, তার ওপর ওই ভবনের সামনে কয়েকটি গাড়ি ছিল, যেগুলো গ্যাসে চলে। আগুনের কারণে গাড়িগুলো বিস্ফোরিত হয়। আরেকটি গাড়ি ছিল, যার ভেতর ছিল অনেকগুলো সিলিন্ডার। ওই সিলিন্ডার হয়তো আশপাশের বাড়িতে ও হোটেলে গ্যাস সরবরাহের জন্য ছিল। ওই গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। এ কারণে মৃত ব্যক্তির সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেড়ে যায়।
আবাসিক ও জনবহুল এলাকার মধ্যে কেমিক্যাল গোডাউন থাকা উচিত নয় বলে মনে করেন আইজিপি। এ সময় সাংবাদিকেরা পুলিশ এ বিষয়ে কোনো ভূমিকা রাখবে কি না, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে অনেকগুলো পক্ষ কাজ করে। পুলিশ তো অবশ্যই ভূমিকা রাখবে, কাজ করবে। তবে তার আগে পরিবেশ অধিদফতর, সিটি করপোরেশন এবং সরকারের যে অন্যান্য দফতর আছে, যারা এগুলো মনিটর করে, তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরানোর। এগুলো সরানোর কাজ এখনই শুরু করা উচিত।