প্রকৃতি ও জীবন যেখানে যেমন
মোহাম্মদ রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: বাংলার মাটি ও মানুষের ত্বরে প্রকৃতির নিঃস্বার্থ দান অপরিসীম।
এ সম্পর্কে আমরা ছোট বেলায় পাঠ্যপুস্তকে পড়েছি এটি একটি মহৎ গুণ। পৃথিবীতে মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার জন্য এই গুণাবলিটি খুবই প্রয়োজন।
মানুষ জন্মগত ভাবে সামাজিক জীব এবং সমাজবদ্ধ হয়েই মানুষ জীবন যাপন করে থাকে। এ কারণে মানুষের উপকার করার মাঝে সকলের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
কিন্তু কালের পরিক্রমায় নিঃস্বার্থ দান বলতে যা বুঝায় তা শুধু আমি প্রকৃতির মাঝেই খুঁজে পাই।
সেদিন যাচ্ছিলাম চট্টগ্রামে ভাটিয়ারির আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ ধরে সবুজারণ্যের মধ্য দিয়ে। কি সুন্দর মন মাতানো প্রাকৃতিক এক পরিবেশ বিরাজমান সেখানে।
এলাকাটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন হওয়াতে এর সৌন্দর্য বর্ণাঢ্য। হঠাৎ দেখতে পেলাম পথের ধারে কিছু নারী এবং পুরুষ সবুজ শাক, সবজি ফলমূল অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করছিলেন।
বুঝাই যাচ্ছিল এগুলো প্রকৃতির নিঃস্বার্থ দান। বিক্রেতারা এই সকল ফলমূল শাক সবজি পাহাড় থেকে বিনামূল্যে সংগ্রহ করে লোকালয়ে এনে বিক্রি করেন তাঁদের জীবিকা নির্বাহের জন্য।
এই সকল সামগ্রী মানুষের জীবন ধারণের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। শহরের মধ্যে ভেজালের ছড়াছড়িতে, পাহাড়ি এই সব পণ্য দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগছিল।
ধনি এবং দরিদ্র সকল মানুষের জন্য এই সবুজ শাক সবজি আর ফলমূল সৃষ্টিকর্তার এক অশেষ রহমত এবং দয়া।
গরিব জনসাধারণ এগুলো কষ্ট করে পাহাড় পর্বত থেকে সংগ্রহ করে আনেন বলেই আমরা খেতে পারি, আর তা খেয়ে কতনা প্রাণ বেঁচে আছে ভুবনে।
ষড়ঋতুর এই দেশে প্রকৃতির এই সকল নিঃস্বার্থ দান আমরা লুপে নিই দুই হাত ভরে কিন্তু তাঁর বিনিময়ে আমরা কিই বা দিতে পেরেছি প্রকৃতিকে? এক অজানা লোভ আর ক্ষুদার কারণে আমরা সবাই আজ দিশেহারা।
ইচ্ছে করলে আমার এই লেখনি আরো বিস্তারিত লিখা সম্ভব তবুও আপাতত আর নয় পাঠকের হাতে সময় কম।
তাই আমি বসে বসে ভাবি আনমনে, এভাবে বেশ ভালোই তো চলছে আমাদের জীবন ।