জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে পরিণত করলে বিশ্ব তাকিয়ে থাকবে

আমাদের জনসংখ্যা অনেক। অন্যদিকে, অনেক দেশে জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে। আমরা যদি আমাদের এই জনশক্তিকে আগামী বিশ্বের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারি, জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে পরিণত করতে পারি, তাহলে বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে। আমরা কেবল জনসংখ্যায় অষ্টম বৃহত্তম দেশ হবো না, আমরা অর্থনীতিতে অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হবো।

আগামীতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসবে, সেখানে প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক বেশি বেড়ে যাবে। সেই নিরিখে আমরা যাতে অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে টিকে থাকতে পারি এবং জনশক্তিকে সত্যিকারের মানবসম্পদে পরিণত করতে পারি, সে বিষয়ে সরকার খুবই সজাগ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ রাজধানীর নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন,  আমাদের ছেলে-মেয়েরা বিগত দিনের সব গ্লানি ও দুঃখ মুছে ফেলে নতুনের উদ্দীপনায় উদ্দীপ্ত হবে। নবদিনের আনন্দ তাদের প্রেরণা যোগাবে। তার সারা বিশ্বে  প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে  নিজেরা সচেষ্ট থাকবে। এক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের যথোপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার ডিজিটাল প্রযুক্তিতে শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করছে।

ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের প্রধান দুটি সম্পদ রয়েছে- পানি ও মানব সম্পদ। এই দুই সম্পদকে কাজে লাগাতে পারলে তা আমাদের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারবে। মানবসম্পদকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা অচিরেই আমাদের স্বপ্ন;  বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারব। বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল, অসাম্প্রদায়িক দেশ যেখানে ধনী-দরিদ্রের আকাশসম ফারাক থাকবে না, প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার এবং  সমান সুযোগ নিশ্চিত হবে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান,  শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা সবার জন্য নিশ্চিত হবে। আমারা আমাদের লক্ষ্যে এখনও পৌঁছাতে না পারলেও  উন্নয়নের যে যাত্রা আমরা শুরু করেছি এ ধারা অব্যাহত থাকলে  ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।

নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি, পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি এম এ হাসেম বক্তৃতা করেন।

নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে  ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে মঙ্গল শোভাযাত্রা, যাত্রাপালা, লোকসঙ্গীত, লোকনৃত্য ও মেলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।