কেন্দুয়ায় নানা কৌশলে বাড়ছে জুয়া খেলা

আপডেট: February 20, 2024 |

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি জুয়া খেলা বেড়েছে। দিন ও রাতের বিভিন্ন সময়ে জুয়াড়ীরা পরিকল্পিতভাবে এসব জুয়ার আসর পরিচালনা করে আসছেন।

বিশেষ করে উপজেলার কিছু এলাকায় রাত পোহানোর সাথে সাথেই ষাঁড়ের লড়াইয়ের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলার আয়োজন করা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে।

এসব জুয়ার সাথে স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও সক্রিয়ভাবে জড়িত বলে একাধিক সূত্র জানায়। থানা পুলিশের লোকজন এসব জুয়ার আসর থেকে টাকা নিচ্ছেন, তাইতো পুলিশ খোঁজে পায়না জুয়ার আসর বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের বরাতে জানা গেছে, উপজেলার রোয়াইল বাড়ি আমতলা ইউনিয়নের বঙ্গবাজার এলাকায়, কেন্দুয়া-নেত্রকোনা সড়কের দলপা ইউনিয়নের রামপুর ইটভাটা সংলগ্ন এলাকায়, নওপাড়া ইউনিয়নের জুড়াইল এলাকায়, চিরাং ইউনিয়নের সাজিউড়া এলাকায়, কান্দিউড়া ইউনিয়নের গোগবাজার সংলগ্ন এলাকায় এবং মোজাফরপুর ইউনিয়নের সুনুই বিলপাড় এলাকায় জুয়াড়ীরা এসব জুয়ার আসর পরিচালনা করে আসছেন।

এদিকে গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার দলপা ইউনিয়নের দলপা গ্রামের চাতল বিল এলাকায় রাত পোহানোর পরপরই ষাঁড়ের লড়াইয়ের মাধ্যমে জুয়া খেলার আয়োজন করা হয়।

এতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জুয়াড়ীরা উপস্থিত ছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জুয়া খেলার সাথে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি জানান, দলপা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আজিজুল ও বিপ্লব নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির নেতৃত্বে এ লড়াইয়ের মাধ্যমে জুয়া খেলার আয়োজনটি করা হয়।

লড়াইয়ে উপজেলার রোয়াইল বাড়ি আমতলা ইউনিয়নের বঙ্গবাজার এলাকার ফয়জুল ও গড়াডোবা ইউনিয়নের ওয়াই এলাকার পলাশের ষাঁড় অংশ নেয়।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আজিজুলের সাথে কথা হলে তিনি ষাঁড়ের লড়াইয়ের আয়োজন করার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ষাঁড়ের লড়াইয়ের অনুমতি নিতে আমি সোমবার ওসি স্যারের সাথে কথা বলেছিলাম।

কিন্তু তিনি নিষেধ করায় আমি এতে যাইনি। পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি এলাকার পোলাপান মিলে ষাঁড়ের লড়াই দিচ্ছে। এ সময় আমি তা বন্ধ করে দেই।

দলপা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শাহীন মিয়া বলেন, ষাঁড়ের লড়াইয়ের খবরটি শুনেছি। তবে কারা এর আয়োজন করেছে সেটা জানতে পারিনি।

সম্প্রতি জুয়া খেলা বেড়ে গেছে জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, জুয়া প্রতিরোধে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিষয়টি ওসি সাহেবকেও কয়েকবার জানিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, দলপা এলাকায় ষাঁড়ের লড়াই হওয়ার খবর আগেই পেয়েছিলাম।

তাই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তা বন্ধ করা হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। জুয়া প্রতিরোধে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানান ওসি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর