২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ভালো পারফরম্যান্স উপহার দিতে চাই : জামাল ভুঁইয়া

আপডেট: March 26, 2024 |

 

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার চেনা মাঠ, চিরপরিচিত দর্শকদের সঙ্গে একটা রেকর্ডও বাংলাদেশের সঙ্গী। এই মাঠে খেলা চার ম্যাচে এখনো হারেনি বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি ড্র, মালদ্বীপের বিপক্ষে জয় ও সর্বশেষ লেবাননের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র। সর্বশেষ সেই পারফরম্যান্সই আসলে বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ বাছাই নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখিয়েছিল।

বড় স্বপ্ন বলতে চার দলের গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান পাওয়া। তাতে সরাসরি এশিয়ান কাপের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যেত। অস্ট্রেলিয়াকে হিসাবের বাইরে রেখে লেবানন, ফিলিস্তিনের বিপক্ষে দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচে ড্র এবং ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ঘরের ম্যাচটিতে জয় তুলে নেওয়া ছিল লক্ষ্য। কিন্তু কুয়েতে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে অ্যাওয়েতেই সর্বনাশ হয়ে গেছে।

বাংলাদেশের সেই বড় স্বপ্নই শুধু ধাক্কা খায়নি সেখানে, ৫-০ গোলের হার হাভিয়ের কাবরেরার দলের আত্মবিশ্বাস নড়িয়ে দেওয়ার জন্যও ছিল যথেষ্ট। আজ ঘরের মাঠের সেই ম্যাচে তাই জয় দূরে থাক, পয়েন্টের কথা বলতেও হিসাব-নিকাশ করতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। গতকাল কিংস অ্যারেনার সম্মেলনকক্ষে বসে কাবরেরা তা যেভাবে বলেছেন, ‘আমরা জানি আগামীকালের (আজ) ম্যাচটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিংস অ্যারেনায় আবারও সেই অসাধারণ আবহটা তাই চাইছি।

এই ভেন্যুতে আমরা এখন পর্যন্ত অপরাজিতও। গত ম্যাচের ফলে জানি অনেকেই খুব হতাশ হয়েছে, তবে মনে করিয়ে দিতে চাই এই ম্যাচেও ইতিবাচক অনেক কিছুই ছিল, বিশেষ করে প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা সময় আমরা দারুণ লড়াই করেছিলাম। দলের জন্য বিরাট অভিজ্ঞতা ছিল সেটা। এবার আমরা এই ম্যাচে নিজেদের মেলে ধরতে চাই, সমর্থকদের উপহার দিতে চাই ভালো কিছু, চাই পয়েন্ট তুলে নিতে।’

ভালো, গতিময় মাঠে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তাল মেলাতে সব সময়ই সমস্যায় পড়তে হয়েছে বাংলাদেশের ফুটবলারদের।

কুয়েতের জাবের আল আহমাদ স্টেডিয়াম থেকে তুলনামূলক ধীরগতির কিংস অ্যারেনা অবশ্যই জামাল ভূঁইয়াদের পক্ষে থাকবে। দর্শক অবশ্য কুয়েতেও ছিল, তবু ঘরের মাঠের উন্মাদনা তো আলাদাই। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া কুয়েতে যা হয়েছে, সেটি নিয়ে পড়ে না থেকে বরং সেই শিক্ষা কাজে লাগাতে চান, ‘কুয়েতের প্রথমার্ধের শেষ কয়েক মিনিট এবং দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর কয়েক মিনিটে যে কিভাবে আমরা খেই হারালাম তার উত্তর নেই আমার নেই আছে। তবে অবশ্যই চাইব, এমন কিছু আর হবে না এই ম্যার্চে।’ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের এই খেলায় হতাশ সমর্থকদের বরং ভালো একটা পারফরম্যান্স উপহার দিতে চান তিনি।
সেদিনের পর থেকে কাবরেরাও শিষ্যদের পরামর্শ দিয়েছেন স্কোরলাইন কী হয়েছে, তা ভুলে যেতে বরং পারফরম্যান্সের কোথায় উত্থান-পতন হয়েছে, সেটি নিয়েই চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়েছে এই দুই দিনে। ওমন একটা হারের পর ফুটবলারদের মানসিক শক্তি ফিরিয়ে আনাটাও একটা চ্যালেঞ্জ কোচিং স্টাফের। কাবরেরা বলেছেন, ‘কুয়েতের ম্যাচে আমরা যে আরো ভালো করতে পারতাম বা করা উচিত ছিল, সেটা ফুটবলাররা জানে। তাই ভেঙে পড়ার কিছু নেই। বরং এই ম্যাচে মাঠে নিজেদের সেই সামর্থ্যটা ঢেলে দেওয়ার সময় এখন।’

অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭-০ ব্যবধানে হেরে আসার পর এই মাঠেই লেবাননের বিপক্ষে আশাজাগানিয়া পারফরম্যান্সে ফুটবলাররা ঠিক আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে আজও তেমন কিছুই আশা। ফিলিস্তিন কোচ মাকরাম দাবুদও মনে করছেন, ‘৫-০ এখন অতীত। বাংলাদেশের ঘরের মাঠের এই ম্যাচ আমাদের জন্য সহজ হবে না।’

 

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর