রমেকে যোগদানের প্রথম দিনেই সমালোচিত হল সুপারের সাথে টেন্ডার নিয়ে মাতলেন অধ্যক্ষ!

আপডেট: April 4, 2024 |

বিশেষ প্রতিবেদক: রংপুর মেডিকেল কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. শাহ্ মো. সরওয়ার জাহান। তিনি একই মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২ এপ্রিল সকালে যোগদান করেন।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, তার যোগদানের পরপরই আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে আগের প্রিন্সিপালের আমলে দুর্নীতিতে সমালোচিত সাবেক হল সুপার ডাঃ আবু হানিফ পাভেল। যোগদানের পরপরই শুরু করেন আগের প্রিন্সিপালের আমলে রেখে যাওয়া বিতর্কিত টেন্ডার সমুহ। যোগদানের ১ দিনের মাথায় বিনা নোটিশে প্রিন্সিপাল তাকে নিয়ে টেন্ডার মুল্যায়নের কাজ শুরু করেন।

আগের প্রিন্সিপাল অবসরে যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডার জমাদান কারীদের কাগজ ভেরিফিকেশনের জন্য সকল কোম্পানিকে চিঠি দিলে তাতে বিভিন্ন অসংগতি লক্ষ্য করা যায়। টেন্ডারে অর্থ আত্মসাতের জন্য কোনো এক কোম্পানির নাম ও প্যাড ব্যবহার করে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে টেন্ডার জমা দেয়া হয়। সেই কোম্পানি পরে চিঠি দিয়ে জানায় তারা কোনো টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেননি। এমন আরও অনেক অসংগতি থাকায় টেন্ডার কার্যক্রম বন্ধ থাকে। কিন্তু নতুন প্রিন্সিপাল নিয়োগ পাওয়া মাত্রই, ডিডিওশীপ আসার আগেই তিনি ডাঃ আবু হানিফ পাভেলকে নিয়ে শত অসংগতি থাকা সত্বেও আবার কার্যক্রম শুরু করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজের নতুন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শাহ্ মো. সরওয়ার জাহানকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেনি ।

এ বিষয়ে ডাঃ আবু হানিফ পাভেলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন। অধ্যক্ষ স্যার আমাকে ডাকলে আমি আমার সাধারণ মতামত দিয়েছি।কোন টেন্ডার কার্যক্রম চালু বা বন্ধ করার এখতিয়ার আমার নেই ।

উল্লেখ্য, যে টেন্ডারে ৩ টি প্যাকেজে মোট ৯৩ লাখ টাকার বই, রিয়াজেন্ট ও স্টেশনারি আইটেম কেনার জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়েছিলো। ডাঃ আবু হানিফ পাভেল গত প্রিন্সিপালের আমলে হোস্টেল সুপারের দায়িত্ব পালন করেন। সেই সময়কালে অত্যন্ত নিম্ন মানের খেলার সামগ্রী শহরের চুড়িপট্টি থেকে কিনে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অনেক অর্থ আত্মসাৎ করা হয়। খেলার সামগ্রী গুলো অত্যান্ত নিম্ন মানের ও খেলার অযোগ্য হওয়া সেগুলো এখনও স্টোরে পরে আছে। তার অর্থ আত্মসাৎ এর ব্যপারে ছাত্র কর্মচারী ইউনিয়ন সহ সকলের দাবীর প্রেক্ষিতে সে হল সুপার থেকে পদত্যাগ করেন।

তার বিষয়ে খোজ নিলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রছাত্রীরা জানায়, সার্জারী পরীক্ষায় পাশ করানোর লোভ দেখিয়ে সুন্দরী ছাত্রীদের তার ব্যাক্তিগত চেম্বারে ডাকতো, গাড়ি নিয়ে লং ড্রাইভে যেতো ও দামিদামি গিফট প্রদান করতো। এ ছাড়াও তার বিষয়ে অতীতে নারী কেলেংকারির বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

 

 

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর