বাংলাদেশে পালিয়ে এলো বিজিপির আরও ১২৮ সদস্য

আপডেট: May 7, 2024 |

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে ৩ দিনে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির অন্তত ১২৮ সদস্য।

গত শুক্রবার থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত এরা পালিয়ে এসেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানায় সংবাদমাধ্যম ইরাবতী। এ সময় তাদের কাছে অস্ত্র-গোলাবারুদও ছিল।

বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের বরাতে ইরাবতী জানিয়েছে, রোববার সকালে দুটি নৌকায় ৮৮ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এর আগের ২ দিনে অনুপ্রবেশ করে বাকিরা। এদের মধ্যে তিনজন মেজর রয়েছেন বলে জানা যায়।

ইরাবতী জানায়, পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যদের টেকনাফের একটি সরকারি স্কুলে রাখা হয়েছে। তারা বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন। বিজিবি কর্মকর্তারা বলছেন, বিজিপির ১২৮ সদস্যের কেউই আহত নন বা তাদের কারো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল, মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয় ২৮৮ সীমান্তরক্ষীকে। ১১ মার্চের পর উত্তর রাখাইন থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিলেন তারা।

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) একটি সদরদপ্তর দখলে নিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মি। গত শুক্রবার রাখাইনের মংডু শহরের উত্তরে অবস্থিত বিজিপি সদরদপ্তরটির নিয়ন্ত্রণ নেয় আরাকান আর্মি।

গত বৃহস্পতিবার কিই কান পিয়েন বর্ডান গার্ড পুলিশ হেডকোয়ার্টারটিতে আক্রমণ করে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। কিই কান পিয়েন গ্রামের অবস্থান মংডু থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে। আরাকান আর্মির একটি সূত্র জানিয়েছে, লড়াইয়ে কুলিয়ে উঠতে না পেরে বিজিপির কমান্ডাররা জান্তা সরকারের হেলিকপ্টারে করে পালিয়ে যান।

রাখাইনের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, এ সময় অন্তত ৫০ জন জান্তা সেনা আরাকান আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের সদস্যরাও হেডকোয়ার্টারটির প্রতিরোধে অংশ নিয়েছিল। তবে এই তথ্যটি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।

গত বছরের নভেম্বরে জান্তার বিরুদ্ধে সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রাখাইন ও চীন প্রদেশের ৯টি শহর দখল করেছে আরাকান আর্মি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর