বগুড়ায় প্রসাইডিং অফিসার ও এজেন্ট গ্রেফতার, দুইজন অব্যাহতি
শাহজাহান আলী, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের একটি ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার বাইরে দেওয়ার অভিযোগে প্রিসাইডিাং অফিসার ও আনারস প্রতিক প্রার্থীর এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রর দু’টি বুথে জাল ভোট দেওয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই সহকারী প্রসাইডিং অফিসারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ১ম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মাঝপাড়া কুসুম কলি সরকারী প্রাথমিক ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-প্রিসাইডিং অফিসার মোঃ শাহজাহান আলী ও আনারস প্রতিক প্রার্থীর এজেন্ট মোঃ এরশাদ আলী। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন।
পুলিশ সুপার সুৃমন রঞ্জন জানান,প্রসাইডিং অফিসার শাহজাহান আলী ৯০০ ব্যালট পেপার স্বাক্ষর ও সিলসহ এজেন্ট এরশাদ আলীর মাধ্যমে কেন্দ্রের বাইরে পাঠান।
এরপর বিভিন্ন ভোটারদের মাধ্যমে ৩০০ ব্যালট বক্সে ফেলানো হয়। পরে এরশাদকে আটক করে ৬০০ ব্যালট উদ্ধার করা হয়।
পরে প্রিসাইডিং অফিসার কাছ থেকে আরও ৯০০ ব্যালট পেপারের মুরি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত দুইজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে বেলা ১২ টার দিকে সেনারায় উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে জাল দেওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রের দায়িত্বরত দুই সহকারী প্রিসাইডিং অফিসকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্র থেকে অব্যাহতি পাওয়া দুইজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হলেন- মোঃ হাফিজার রহমান ও আব্দুল মোত্তালিব।
এই ভোট কেন্দ্রের কক্ষের দরজা বাইর থেকে আটকানো দেখে স্হানীয় লোকজন হইচই শুরু করে। পরে জুডিশিয়ান ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফসানা রিমির নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট এসে ঘটনার সত্যতা পায়।
পারে তাঁদেরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্হা নিবে বলে জানা তিনি।
এদিকে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের দাবি ১০ থেকে ১৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি এসে তাঁদের কাছ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়।
এ ব্যাপারে প্রিসাইডিাং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরদের জানানেো হলেও তারা কোনো ব্যবস্হা না নেওয়ার অভিযোগ করেন তাঁরা।