বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করল অপো

আপডেট: June 23, 2024 |
Messenger creation a3e79f94 5c8e 4d18 bfbc 967aa873caa2
print news

শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অপো বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এর ২০২৩ সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। চতুর্থ বার্ষিক প্রতিবেদনে টেকসই উদ্যোগের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির অগ্রগতি এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রকাশিত হয়েছে। “মানবজাতির জন্য প্রযুক্তি, বিশ্বের জন্য উদারতা”-এই মিশনে বিশ্বাসী অপো টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পাঁচটি মূল বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়েছে: গুণসম্পন উদ্ভাবন, পরিবেশ রক্ষা, ইকোসিস্টেমের অন্তর্ভুক্তি, অপারেশন ও কমপ্লায়েন্স এবং কর্মীদের সুরক্ষা।

অপো ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো ২০৫০ সালের মধ্যে এর বৈশ্বিক কার্যক্রমে কার্বন নিউট্রালিটি অর্জনের প্রতিশ্রুতি দেয়। নবায়নযোগ্য শক্তির প্রয়োগ ও শক্তির সুদক্ষ ব্যবহারে উন্নতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে এই লক্ষ্যের দিকে অগ্রগতি দেখিয়েছে। যেমন, অপো সৌর প্যানেলের সাহায্যে বার্ষিক কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ ২৮১৯ টন কমিয়েছে এবং শক্তির দক্ষ প্রয়োগ করে উৎপাদনের মাধ্যমে আরও ৮৯৪৭ টন সাশ্রয় করেছে। প্রতিষ্ঠানটি প্যাকেজিং থেকে প্লাস্টিক অপসারণ এবং পুরানো স্মার্টফোন পুনর্ব্যবহার করে প্রোডাক্ট লাইফসাইকেল ম্যানেজমেন্টকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। ২০২৩ সালে চীনের বাজারে ট্রেড-ইন সার্ভিসের মাধ্যমে প্রায় ১.১ মিলিয়ন ডিভাইস রিসাইকেল করা হয়।

কর্পোরেট গ্লোবাল সিটিজেন হিসেবে অপো কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা বিষয়ক পদক্ষেপ নিতে বিশ্বব্যাপী নানা গোষ্ঠী, সরকার, অলাভজনক সংগঠন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবহারকারীদের সাথে যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৩ সালে অপো পরিবেশ রক্ষা, তরুণদের ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি এবং স্বাস্থ্য ও সুস্থতার উদ্যোগকে সহযোগিতা করার জন্য বিভিন্ন শিক্ষা ফাউন্ডেশন ও দাতব্য সংস্থাকে ২৩.২১ মিলিয়ন আরএমবি-এরও বেশি অনুদান দিয়েছে।

অপো গত বছরে এআই, অ্যাক্সেসিবিলিটি ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও তা গ্রহণের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে। এই পর্যন্ত অপো বিশ্বব্যাপী ১০১,০০০ টিরও বেশি পেটেন্ট আবেদন জমা দিয়েছে, যার মধ্যে ৯১ শতাংশ উদ্ভাবন বিষয়ক পেটেন্ট। ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও)-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে অপো ইন্টারন্যাশনাল পেটেন্ট ট্রিটি (পিসিটি) আবেদনের সংখ্যার ক্ষেত্রে ৯ম অবস্থানে ছিল। অপো টানা পঞ্চম বছর এই ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০-এর মধ্যে রয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অপো নিয়ে আসে এর প্রথম সেলফ-ট্রেইনড লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল অ্যান্ডেসজিপিটি। এর পরপরই অপো আনুষ্ঠানিকভাবে এআই ফোনের যুগে প্রবেশ করে এবং এই ফোনকে সবার কাছে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেয়। এছাড়াও, অপো বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তি পেশাজীবীদের সাথে টেকসই ভবিষ্যত গঠনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন উদ্ভাবনকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার লক্ষ্যে অপো ইন্সপিরেশন চ্যালেঞ্জ চালু করা হয়েছে। এই উদ্যোগে “ইন্সপিরেশন ফর পিপল” ও “ইন্সপিরেশন ফর দ্য প্ল্যানেট” বিভাগে উদ্ভাবনী সমাধানের জন্য আহ্বান জানানো হয়।

একটি কার্যকর ও আরও টেকসই প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠার লক্ষ্যে অপো টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের শক্তিকে ব্যবহার করে যাবে। প্রতিষ্ঠানটি এর অংশীদার ও সহযোগিতদের সাথে যৌথ প্রচেষ্টায় একটি উন্নত বিশ্ব গড়ে তুলবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর