লকডাউন খুলতে যেসব জাতীয় পরিকল্পনা চলছে যুক্তরাষ্ট্রে

আপডেট: April 15, 2020 |
print news

যুক্তরাষ্ট্রে এখনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। এরই মধ্যে সে দেশের মানুষকে কাজে ফেরানোর ব্যাপারে জাতীয় পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করা হয়েছে।

আর সেই খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করেছে সেন্টার ফর দ্য ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট অ্যাজেন্সি (এফইএমএ) মিলে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এই পরিকল্পনায় স্থানীয় এবং রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে- কিভাবে নিরাপদে এবং ধাপে ধাপে দেশের জনগণকে কাজে ফেরানো যায় সে ব্যাপারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও চান যত দ্রুত সম্ভব লকডাউন খুলে দিতে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের শারীরিক দূরত্ব এবং অন্যান্য সতর্কতা থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনাটা খুবই তাড়াতাড়ি হয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে রাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠানের মত নেওয়ার চেষ্টা করেছে সিএনএন। নাম না প্রকাশ করার শর্তে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লকডাউন খুলে দেওয়ার ব্যাপারে আট ধরনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার মধ্যে দু’টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক।

সিএনএন বলছে, তিনটি ধাপ পার হয়ে লকডাউন খুলে দেওয়া হতে পারে। প্রথম ধাপে দেশজুড়ে প্রচার করা হবে করোনার ব্যাপারে নানা তথ্য। মানুষকে মূলত ১ মে পর্যন্ত সচেতন করা হবে। এরপর করোনা পরীক্ষার কিট সবখানে সরবরাহ করা হবে এবং পার্সোনাল প্রটেকশন ইক্যুইপমেন্ট সহজলভ্য করে তোলা হবে। সেই সঙ্গে বাড়ানো হবে জরুরি তহবিল। ১৫ মে পর্যন্ত এই ধাপ চলবে।

তারপর পরিস্থিতি বিবেচনা করে লকডাউন খুলে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে। তবে কোনোধাবেই ১ মে’র আগে লকডাউন খুলছে না। আর এই পরিকল্পনা নিয়ে হোয়াইট হাউস এবং করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা আলোচনা করেছেন।

ট্রাম্প গতকাল বলেছেন, তিনি শিগগিরই এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলবেন এবং লকডাউন খুলে দেওয়ার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা ঠিক করবেন। পুনরায় দেশে কর্ম চাঞ্চল্য ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে বেশ ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে করোনার প্রকোপ কম থাকা কিছু রাজ্য ১ মে’র আগেই লকডাউন খুলে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে মোট শনাক্ত হয়েছে ছয় লাখ ১৩ হাজার আটশ ৮৬ জন। এরই মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ২৬ হাজার ৪৭ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে দুই হাজার চারশ সাতজন এবং নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ হাজার নয়শ ৪৫ জন।

দেশটিতে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৪৯ হাজার ১৯ জন এবং তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় রয়েছে ১৩ হাজার চারশ ৮৩ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছে ৩৮ হাজার আটশ ২০ জন। জানা গেছে, সে দেশে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে মোট ৩০ লাখ ৬৫ হাজার ১৯ জনের।

সূত্র : সিএনএন

বৈশাখী নিউজবিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর