আম্ফানের গতি কমেছে সামান্য
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত প্রচণ্ড শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের গতি সামান্য কমলেও তা এখনও অত্যন্ত বিপজ্জনক পর্যায়ে রয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এটি ঘণ্টায় ১৬৫-১৭৫ কিলোমিটার বেগে আজ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। এজন্য মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টির তাণ্ডবে সবচেয়ে ক্ষতি হতে পারে সুন্দরবনের। তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উভয় অংশেই এ ঘুর্ণিঝড় প্রচণ্ড ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ঘটাবে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
আজ বুধবার (২০ মে) দুপুরের পর থেকে যেকোনো সময় স্থলভাগে আছড়ে পড়বে আম্ফান। এর গতিবেগ ১৬৫-১৭৫ কিলোমিটার হতে পারে।
ওয়েদার ডটকম জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি সামান্য দুর্বল হয়ে ক্যাটেগরি ৪-এ রূপ নিয়েছে। তবে এটি এখনো অত্যন্ত বিপজ্জনক রয়েছে। এটি বর্তমানে প্রায় ৯ নটিক্যাল মাইল বেগে এগিয়ে আসছে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ১০ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে, যা বহু মানুষের মৃত্যু ঘটাতে পারে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে, যা আরো বাড়তে পারে।
আম্ফান তিনটি স্তরে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। মাথা-চোখ-লেজ। ফলে স্থলভাগে দুবার আচমকা ঝড় দেখা যেতে পারে। অর্থাৎ বিকেলে যখন ঝড়ের মাথা প্রবেশ করবে তখন একবার। এরপর কমে যাবে ঝড়ের দাপট। শুরু হবে স্বাভাবিক বৃষ্টি। এরপর ঝড়ের শেষ ভাগ অর্থাৎ লেজ যখন রাতের দিকে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে তখন তার দাপট আবার দেখা যাবে। এবং যে সময় লেজ পশ্চিমবঙ্গে থাকবে তখন মাথা থাকবে বাংলাদেশে।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে কিছুটা গতিক্ষয় হয়েছে তবে মোটেও চরিত্র পাল্টায়নি আম্ফান। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে তছনছ হতে পারে দুই বাংলার সুন্দরবনের একাংশ।
বৈশাখী নিউজ/ জেপা