ফিল্ড হাসপাতালে বেদনাবিধুর বাস্তবতা, সন্তানের শেষ আদর বাবাকে

আপডেট: May 22, 2020 |
print news

গত ২০ মে ২০২০- ৪০ বছরের রোগী জীবনের শেষ মুহূর্তে চিকিৎসা নিতে এসেছিল আমাদের চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে। রোগীকে প্রথম দেখায় বুঝতে পেরেছিলাম জীবনের সময় বেশি নেই। তবু চেষ্টা করেছিলাম আমাদের সামর্থ নিয়ে রোগীকে বাঁচাতে। রোগীর অভিভাবকও বুঝতে পেরেছিল রোগীর পরিণতি। করোনা টেস্ট হয়নি কিন্তু সকল লক্ষণ করোনাভাইরাস জনিত। অবশেষে মারাও গেলেন ১৩.৩০ ঘন্টা পর।

রোগীর অভিভাবক হিসেবে সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। স্ত্রী কে জিজ্ঞেস করতেই বললো তাদের ৭ বছরের সন্তান আছে। সাধারণত করোনা জনিত লক্ষণে মারা গেলে সিভিল সার্জন অফিসে জানাতে হয়। পরে সিভিল সার্জন নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় দ্রুত দাফন করা হয়। কিন্তু আত্মীয় স্বজন কেউ মৃত ব্যক্তিকে দেখার সুযোগ হয় না।

আমি মৃত রোগীর অভিভাবক স্ত্রীকে বললাম আপনাদের সন্তানকে তার বাবাকে দেখবে না? উত্তরে বললো বাসায় কেউ নাই আর কিভাবে আসবে। পরে সিভিল সার্জন কর্তৃপক্ষ নিয়ে গেলে সন্তান বাবাকে দেখতে পারবে না। আমি বললাম আপনি বাসায় গিয়ে আপনাদের সন্তানকে নিয়ে আসেন আমাদের হাসপাতালের গাড়ি নিয়ে। তাই হলো, মা সন্তানকে আমাদের গাড়িতে করে নিয়ে আসলো।

সন্তান বাবাকে তার শেষ স্পর্শ আদর দেওয়ার মুহূর্ত – ( তাদের সন্তান এর সাথে আলাপে তার বাবা সন্তানের অনেক কিছু জানা হলো – কষ্ট হলো অনেক, ৭ বছরের সন্তান তার বাবাকে হারালো )

লেখক: প্রধান উদ্যোক্তা, চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর