দেশে চিকিৎসকসহ ২ হাজার ১১১ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত

আপডেট: May 31, 2020 |

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সংক্রমণের শিকার রোগীদের চিকিৎসায় ও সেবা দিতে গিয়ে ডাক্তার এবং নার্সরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে এ পর্যন্ত সারাদেশে ৭০৩ জন ডাক্তার, ৫৬১ জন নার্স ও ৮৪৭ জন অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

শনিবার ( ৩০ মে) বিকেলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক ডা. শহিদ উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সারাদেশে ৭০৩ জন ডাক্তার, ৫৬১ জন নার্স ও ৮৪৭ জন অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবাকর্মীসহ ২ হাজার ১১১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

বিএমএ জানায়, ঢাকা বিভাগে ৪৫১ জন ডাক্তার, এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৯৬ জন রাজধানী ঢাকাতেই। নার্স ৩৩০ জন, ঢাকাতে ২৩০ জন। অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ৪৫১ জন। যার মধ্যে ঢাকাতেই ১৯০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

বরিশাল বিভাগে ১৩ জন ডাক্তার, ১৭ জন নার্স, ১৬ জন অন্যান্য সেবা কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৪ জন ডাক্তার, ৩৫ জন নার্স ও ১৫৭ অন্যান্য সেবা কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।

খুলনা বিভাগে ৩৯ জন ডাক্তার, ২০ জন নার্স, ৪৮ জন অন্যান্য সেবা কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। রাজশাহী বিভাগে ১১ জন ডাক্তার, ১৭ জন নার্স, ২৮ জন অন্যান্য সেবা কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।

রংপুর বিভাগে ২১ জন ডাক্তার, ২১ জন নার্স ও ২৬ জন অন্যান্য সেবা কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে ৪৭ জন ডাক্তার, ৫৩ জন নার্স ও ৬৫ জন অন্যান্য সেবা কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।

ময়মনসিংহ বিভাগে ১০৬ জন ডাক্তার আক্রান্ত হয়েছেন। যারমধ্যে ময়মনসিংহে ৭১ জন, ৯৬ জন নার্স। যার মধ্যে ময়মনসিংহে ৭৭ জন এবং ১৬৭ অন্যান্য সেবা কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। যারমধ্যে ময়মনসিংহে ৮৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার হিসাবে শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। ৪৪ হাজার ৬০৮ আক্রান্তের মধ্যে মহানগরসহ ঢাকায়ই শনাক্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৪৫২ জন। আর মৃত ৬১০ জনের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় মৃত্যু হয়েছে ২১৩ জনের, ঢাকা জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৭৩ জনের। আর চট্টগ্রামে ১৫২, ময়মনসিংহে ১৫, রাজশাহীতে ৫, রংপুরে ১৬, খুলনায় ৮, বরিশালে ১১ এবং সিলেট বিভাগে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৬০ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন তিন লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৬ লাখ ৭১ হাজারের বেশি মানুষ।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত টানা ৬৬ দিনের ছুটি শেষ হচ্ছে শনিবার (৩০ মে)। দীর্ঘ ছুটি শেষে সীমিত পরিসরে খুলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সোমবার (১ জুন) থেকে চালু হতে যাচ্ছে গণপরিবহনও।

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর