করোনা চিকিৎসায় ‘আইবুপ্রোফেন’ প্রয়োগ শুরু করছে যুক্তরাজ্য

করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ‘আইবুপ্রোফেন’ নামের একটি ওষুধের প্রয়োগ শুরু করছে যুক্তরাজ্য। ওষুধটি মূলত প্রদাহ দূরীকরণে এবং ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই ওষুধটি শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দূর করতে সক্ষম। খবর স্কাই নিউজ ও বিবিসির।

লন্ডনের কিংস কলেজ ও গাইস অ্যান্ড সেন্ট থমাস হাসপাতালের গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছেন আইবুপ্রোফেন করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দূরীকরণে কার্যকর হতে পারে।

তারা প্রাণীদের ওপর প্রয়োগ করে ইতিবাচক ফল পেয়েছেন। শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগা প্রাণীরা ৮০ শতাংশ মারা যাচ্ছে। কিন্তু আইবুপ্রোফেন প্রয়োগের পর মৃতের সংখ্যা ২০ শতাংশ কমে আসছে।

যদিও মহামারির শুরুতে ফ্রান্সের রাজনীতিবিদরা জানিয়েছিলেন আইবুপ্রোফেন সেবনে করোনা রোগীদের অবস্থার আরো অবনতি হতে পারে।

তবে যুক্তরাজ্যের গবেষক ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন ভিন্ন ফল। তারা শিগগিরই বড় পরিসরে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের ওপর এই ওষুধের ট্রায়াল শুরু করবে। তবে আইসিইউতে থাকা আশঙ্কাজনক রোগীদের ওপর প্রয়োগ করবে না।

এ বিষয়ে প্রফেসর মিতুল মেহতা বলেছেন, এই ওষুধ প্রয়োগের ফলে আমরা করোনা আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে থাকা সময়টা কমাতে পারি। তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। এটা আসলে আমাদের জন্য দারুণ একটি ফল। থিওরিটিক্যালি এটা কাজ করার কথা। এখন আমরা ট্রায়াল দিয়ে দেখতে চাই যে আমরা যেটা প্রত্যাশা করছি ঠিক সেই প্রত্যাশামাফিক ফল মানবদেহে প্রয়োগের ফলে পাওয়া যায় কিনা। প্রাণীদেহে এটা প্রয়োগ করে আমরা ইতিবাচক ফল পেয়েছি। এখন মানবদেহে প্রয়োগ করে ফল পেলে সেটা হবে মহামারির এই সময়ে দারুণ কিছু।

মহামারি করোনাভাইরাসের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। অসহায় হয়ে পড়েছে বিশ্বের চিকিৎসা বিজ্ঞান। কোনো ওষুধ দিয়েই রোখা যাচ্ছে না প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। তবে অন্যান্য রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু কিছু ওষুধ করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে। তার একটি ম্যালেরিয়ার ওষুদ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন। যদিও এটা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। তবুও কিছু কিছু দেশ ও তাদের প্রেসিডেন্ট উক্ত ওষুধ সেবন করছে। কিছু কিছু দেশ এটার অনুমোদন দিয়েছে।

এবার নতুন সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয়েছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকরা। শেষ পর্যন্ত তারা এই ট্রায়ালে সফল হয়ে করোনা নিয়ে অস্বস্তিতে থাকা গোটা বিশ্বকে স্বস্তি দিতে পারেন কিনা দেখার বিষয়।

বৈশাখী নিউজজেপা