‘করোনায় হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন সেবনে কোনো উপকারিতা নেই’
করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন সেবনে উপকারিতা নেই বলে মত দিয়েছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, এই ওষুধ কিছুটা বিষাক্তও। তাই এখনই ওষুধটির প্রয়োগ ও ট্রায়াল বন্ধ করা উচিত। খবর এএফপি’র।
এ বিষয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও সহ-গবেষক মার্টিন লন্ড্রি বলেছেন, আমরা এই বলে সমাপ্তি টানতে চাই যে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে পারে না। তারপরও এই ওষুধটির গুরুত্ব রয়েছে। সেটা কেবল যুক্তরাজ্যেই নয়, পুরো বিশ্ব জুড়েই। অনেক দেশেই এটার প্রয়োগ হচ্ছে। যেটা বন্ধ করা উচিত।
এই গবেষণার জন্য যুক্তরাজ্যের ১৭৫টি হাসপাতালের ১১ হাজার রোগী বাছাই করা হয়। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৫৪২ জনকে মেডিকেল সেবার পাশাপাশি হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৩ হাজার ১৩২ জনকে আলাদাভাবে দেওয়া হয় মেডিকেল সেবা। কিন্তু মৃতের হারে উল্লেখযোগ্য কোনো পার্থক্য পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি এই গবেষণায় ম্যালেরিয়ার এই ওষুধ প্রয়োগে রোগীদের হাসপাতালে থাকা সময় কমে আসারও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের প্রফেসর পিটার ওপেন’শ বলেছেন, এটা আসলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল। এটার মাধ্যমে আমরা স্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছি যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের ওপর হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের কোনো প্রভাব নেই। করোনার চিকিৎসায় এটা প্রয়োগের কোনো উপকারিতা নেই। আসলে এই ওষুধটা বিষাক্তও বটে। সুতরাং এটার ট্রায়াল ও প্রয়োগ এখনই বন্ধ করা উচিত।
দুদিন আগে করোনার বিরুদ্ধে লড়তে ব্রাজিলে ২০ লাখ ডোজ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনা থেকে বাঁচতে দেড় সপ্তাহের অধিক সময় এই ওষুধ সেবন করেছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের চিকিৎসায় ভারতও অনুমতি দিয়েছে এই ওষুধ ব্যবহারের।
বৈশাখী নিউজ/ জেপা