আজ পয়লা আষাঢ়

আপডেট: June 15, 2020 |
print news

‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে… আসে বৃষ্টিরও সুবাস ও বাতাসও বেয়ে।’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়ই বলছি আষাঢ় এসেছে ষড়ঋতুর বাংলায়। আজ রূপময় ঋতু বর্ষার প্রথম দিন। আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো ঋতু বর্ষার। বর্ষাকাল চলবে শ্রাবণের শেষ দিনটি পর্যন্ত।

বাংলা সাহিত্যে বর্ষার অনেক প্রভাব রয়েছে। সেই বিদ্যাপতির ‘এ ভরা বাদর মাহ ভাদর শূন্য মোর’ থেকে শুরু করে বাংলার প্রধান কবি রবীন্দ্রনাথের অসংখ্য গান-কবিতায় বর্ষা ঝরছে অঝোর ধারায়। রবীন্দ্রনাথ বর্ষা নিয়ে এতটাই মাতামাতি করলেন যে বাংলার আরেক প্রধান কবি জীবনানন্দ দাশ প্রকৃতির কবি হওয়া সত্ত্বেও বর্ষা নিয়ে কোনো কবিতাই লিখলেন না। জীবনানন্দ দাশ না লিখলেও ত্রিশের অন্য আধুনিক কবিরা কিন্তু বসে থাকেননি। নজরুল থেকে শুরু করে বুদ্ধদেব বসু, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, জসীম উদ্দীন সবাই অল্পবিস্তর বর্ষার রূপ বর্ণনা করেছেন। পঞ্চাশ-ষাট-সত্তর দশকের বাংলার আধুনিক কবিদের মধ্যেও পড়েছে বর্ষার বিপুল প্রভাব।

এবার বর্ষা  আমাদের দ্বারে এসেছে এক অভিশপ্ত করোনাকালে। করোনায় মৃত্যু দেখতে দেখতে চারদিকে শোকাতুর পরিবেশ। শোকে আচ্ছন্ন গোটা দেশ। এবার বর্ষা এমন সময়ে এলো যখন গরমের দাপট চলছে। বৃষ্টি হচ্ছে ক’দিন ধরেই, কিন্তু গরম কমছে না। আকাশেও মেঘের ঘনঘটা। আছে নিম্নচাপ, অন্যদিকে ঝিরঝির বৃষ্টি। আসলে প্রকৃতি যেন বলেই দিচ্ছে সময়টা এখন বর্ষার।

এ সময়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস এ রকম- মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয়। রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। রাজধানী ঢাকায় জ্যৈষ্ঠের শেষদিনে বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর