হাসপাতালে ভর্তি নেপালের প্রধানমন্ত্রী
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলিকে বুধবার কাঠমান্ডুর এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুকে যন্ত্রণা অনুভব করায় তাকে সাহিদ গঙ্গালাল ন্যাশনাল হার্ট সেন্টারে ভর্তি করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা সূর্য থাপা অবশ্য টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার কারণেই কেপি সিং অলি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
নেপালে এখন অলির পদত্যাগের দাবি তীব্রতর হচ্ছে। শুধু বিরোধীরা নন, শাসক দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টিরে ভেতরেও এখন অলিবিরোধী হাওয়া। দলের অনেক প্রবীণ নেতাই কেপি শর্মা অলিকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছেন না। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেয়ার জন্য অলির ওপর চাপ বাড়ছে।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়ে চীনের সঙ্গে অলির মাখামাখি তারা ভালো চোখে দেখছেন না। সংগঠনের মধ্যেই এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুধু প্রধানমন্ত্রী পদ নন, অলিকে পার্টির প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার কথাও উঠেছে। স্বাভাবিক কারণেই চাপে পড়েছেন অলি।
সংগঠনে তাকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় মঙ্গলবার চাপে পড়েই মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন। বৈঠকে কো-চেয়ারপার্সন পুষ্প কমল দহল, মাধব নেপাল, ঝালানাথ খানাল, বামদেব গৌতমের মতো সংগঠনের সিনিয়র নেতারা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে তার ইস্তফা দাবি করেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অলি ব্যর্থ বলে তারা মনে করেন।
এদিকে ভারতের উসকানিতেই তার নেতৃত্ব নিয়ে আজ প্রশ্ন উঠছে বলে অভিযোগ করেন অলি। নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দেগে বলেন, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ভারত ষড়যন্ত্র করছে। নয়াদিল্লি অবশ্য অলির বক্তব্য নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
তবে অলির ভারত বিরোধিতা এখন বুমেরাং হয়ে দেখা দিয়েছে। নিজের কুরসি শক্তপোক্ত করতে জাতীয়তাবাদের জিগির তুলে ইদানিং ভারত বিরোধী কিছু পদক্ষেপ নেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। তার সেই পদক্ষেপই এখন অলির কুরসি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। অলি ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেও নেপালের বিরোধী দল শুধু নয়, শাসকদলও মনে করছে নিজের ব্যর্থতা ঢাকতেই ভারতের দিকে আঙুল তুলছেন অলি।
উল্লেখ্য, অলি বেশ কিছু দিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। গত মার্চে তার কিডনি প্রতিস্থাপন করাতে হয়। তার ভাইঝি সমীক্ষা সাংগ্রাউলা ডান কিডনি দান করেন। এই মাসেরই শেষর দিকে হার্ট রেট অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কারণে কেপি শর্মা অলিকে ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল।
খবর এই সময়ের
বৈশাখী নিউজ/ জেপা