সোয়া দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি সিরাজগঞ্জে

আপডেট: July 19, 2020 |

সিরাজগঞ্জে দ্বিতীয় দফায় টানা ৮ দিন অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পর দুইদিন ধরে ধীরগতিতে কমছে যমুনা নদীর পানি। যমুনার পানি কিছুটা কমলেও এখনও তা বিপৎ সীমার অনেকে উপর দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কোন উন্নতি না হওয়ায় নদ-নদীর অববাহিকার ৬টি উপজেলা সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী, শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়ার বানভাসি পানিবন্দি ক্ষতিগ্রস্ত সোয়া দুই লক্ষ অসহায় মানুষদের দুর্ভোগ কমছে না।

পানিবন্দি মানুষদের বাড়ির ভিতর পানির স্রোত, ঘরের ভিতর থৈই থৈই পানি, মেঝেতে গর্ত, তার মধ্যেই আড়ার ওপর মাচা পেতে জিনিসপত্র রেখে ভয়, আতংক, দুশ্চিন্তায়, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, শিশু খাদ্য, ওষুধপাতির সংকট, পয়ঃনিস্কাশনের চরম সমস্যায় মানবতার জীবন যাপন করছে তারা। অনেকেই শিশু, বৃদ্ধদের নিয়ে নৌকায় বাস করছে। তাদের অনেকেরই অভিযোগ, দুইবারের বানের পানিতে ঘর বাড়ি তলিয়ে গেলেও কেউ তাদের খোঁজ নিতে আসেনি।

তবে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, বন্যা কবলিতদের জন্য ২৬৭ মেট্রিক টন চাল ও ৩ হাজার ৯৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ডপয়েন্টে যমুনার পানি ১৪ সেন্টিমিটার কমে রবিবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং একই সময়ে উত্তরে কাজিপুর পয়েন্টে যমুনার নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

অন্যদিকে যমুনার পানি কমার সাথে সাথে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষেরা নতুন করে ভাঙন আতংকে নির্ঘুম রাত পার করছে।

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর