সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক গড়ার পরামর্শ কুশনারের!

আপডেট: August 15, 2020 |

ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা আবশ্যক বলে উল্লেখ করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও হোয়াইট হাউজের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক উপদেষ্টা জারেদ কুশনার।

গতকাল শুক্রবার (১৪ আগস্ট) সিএনবিসির এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন। এছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে আরব আমিরাতের স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্কের উদ্যোগকে ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়া নিয়ে বিশেষ সাক্ষাতকারে তিনি আরো বলেন, ‘আমার মনে হয়, অনেক দেশই এক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে আগ্রহী। আমি মনে করি, এখন সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তাঁরা এক সঙ্গে অনেক কিছু করার সামর্থ্য রাখে।’

কুশনার বলেন, ‘সৌদি আরব এখন আধুনিকায়নের নেতৃত্ব দিচ্ছে। কিন্তু রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন সম্ভব নয়।’ আমিরাতের চুক্তি বিষয়ে সৌদির নীরবতায় কুশনার বলেন, ‘আমরা ২৬ বছর আগে প্রথম শান্তি চুক্তি করেছিলাম। আমরা এ বাহনে আরো যাত্রীর প্রত্যাশা করি।’

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপন করতে ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের ‘ঐতিহাসিক’ সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও আমিরাত যৌথ বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের অধিকৃত জমি দখলের পরিকল্পনা স্থগিত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়।

ঘোষণার পর গতকাল শুক্রবার ফিলিস্তিনের আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে জুমার পর যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ছবি পদদলিত করে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়।

উপসাগরীয় দেশের মধ্যে আরব আমিরাতই প্রথম ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করল। ১৯৮৯ সালে মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে মিশর চুক্তি করেছিল। অতঃপর ১৯৯৪ সালে জর্দান শান্তি চুক্তি করেছিল।

আমিরাতের এ চুক্তিকে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ আল আকসা মসজিদ ও ফিলিস্তিনের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে তা প্রত্যাখ্যান করে। ইরান ও তুরস্ক এ চুক্তির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানায়। অপরদিকে মিশর, বাহরাইন ও ওমান আমিরাতের চুক্তিতে অভিবাদন জানায়।সূত্র : সিএনবিএস ও আল জাজিরা নেট

বৈশাখী নিউজএপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর