বাংলাদেশ খাদ্য রপ্তানি করে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘অনান‌্য জিনিসের পাশাপাশি বাংলাদেশি খাদ‌্য রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ‌্যমে এগুতে পারলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারব।’

শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) খুলনার বয়রায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর, খুলনার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব‌্যক্ত করেন।

মৎস‌্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি দেশকে দরিদ্র করতে চেয়েছে, আর শেখ হাসিনা দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। বিএনপি সরকার চেয়েছিল দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ না হোক। স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে বিদেশি সাহায্য পাওয়া যাবে না। এটাই ছিলো তাদের চাওয়া। তারা আমাদের দরিদ্র-ভিক্ষুকে পরিণত করতে চেয়েছে। অথচ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন স্বয়ংসম্পূর্ণ না হলে মানুষের মর্যাদা থাকে না। তার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। আমরা আশা করছি অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ খাদ্য রপ্তানি করে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে।’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম শাকিলুজ্জামান ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা।

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- খাদ্য বলতে শুধু ধান, চাল, ভুট্টা, গমকেই বোঝায় না। খাদ্যের একটি বড় অংশ হলো মাছ-মাংস ও শাক-সবজি। তিনি আরও বলেছিলেন ভিক্ষুকের জাতির কোনো মর্যাদা থাকে না। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য নিয়ে শেখ হাসিনা গোটা জাতিকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।’

শেখ হাসিনা বিশ্বের সেরা ক্রাইসিস ম্যানেজার উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও যোগ করেন, ‘করোনা সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র চালু করেছি। প্রায় সাত হাজার ২০০ কোটি টাকার মৎস‌্য ও প্রাণিজাত পণ্য ভ্রম্যমাণকেন্দ্রের মাধ্যমে বিক্রয় করা হয়েছে। উদ্যোক্তা, খামারি ও উপকারভোগীদের জন্য কন্ট্রোলরুম করে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।’

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, খুলনা বিভাগে কর্মরত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও প্রাণিসম্পদ খাতে সম্পৃক্ত উদ্যোক্তা ও খামারীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এবং ফলক উন্মোচন করে বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর, খুলনার ছয় তলাবিশিষ্ট নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

 

বৈশাখী নিউজ/ বিসি