“বিজয়ফুল”কর্মসূচির তাৎপর্য

আপডেট: December 4, 2020 |
print news

চলছে বিজয়ের মাস। এই মাসটি আমাদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ন। এ মাসের তাৎপর্য্য জানতে হলে আমাদের দেশের পেছনের ইতিহাসের দিকে একটু যেতে হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পনের মাধ্যমে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগষ্ট যখন বৃটিশ রাজত্ব থেকে ভারত-পাকিস্তান ভাগ হলো তখন পাকিস্তান নামে একটি রাষ্ট্রের জনাম হলো। পাকিস্তানের একটি অংশ ছিলো পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ)। আমাদের দেশ থেকে ১৪শত মাইল দূরে অবস্থিত পাকিস্তানীরা আমাদের শাসন করতো। রাষ্ট্র পরিচালনায় বড় বড় পদগুলো ছিলো তাদের কাছে আর আমাদের অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানের লোকজনকে দেয়া হতো ছোট ছোট্ পোষ্টগুলো। অর্থাৎ শিশুকে যেমন একটা চকলেট বা মুড়ি মোয়া হাতে দিয়ে সান্তনা দেয়া হয়, আমাদের প্রতি তাদের ব্যবহারও ছিলো সে রকম, যাতে আমরা চুপচাপ থকি, তাদের বিরুদ্ধে কোন উচ্চবাচ্য না করি। কিন্তু দুর্বোধেরা একথা বুঝতে পারেনি যে, শিশুরা অনেক কিলগুতা খেয়ে যখন বড় হয়, তাদের অধিকার কতটুকু তাদের প্রাপ্য বুঝতে শুরু করে,তখন তাদেরকে আর দাবিয়ে রাখা যায় না, তা দিতেই হয়। আমাদের বেলায়ও ঠিক তাই হয়েছিলো। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ যখন বুঝতে পারলো যে, তারা আমাদেরকে যে ভাবে শাসন করছে তা কোন মতোই মেনে নেয়া যায়না। আমাদের কাছ থেকে ট্যাক্স আদায় করে গড়ে তুলছে পাকিস্তানে রাস্তাঘাট, কলকারখানা সহ দেশের নানাবিধ সব ধরণের উন্নয়ন মূলক কাজ, আর আমাদের পূর্ব পাকিস্তান জন্ম থেকে যে ভাবে ছিলো ঠিক একই রকম। না আছে রাস্তাঘাট, না আছে কোন কলকারখানা, না আছে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কোন পদে আমাদের লোক। এই অবস্থা যখন চলতে থাকে তখন পাকিস্তানীদের শাসন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য পূর্ব পাকিস্তানের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্দোলন। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণেই রয়েছে পাকিস্তানী শাসকদের দ্বারা আমাদের লাঞ্ছিত করার ইতিহাস, ২৩ বছর আমাদের শোষণ করার ইতিহাস। তাই আমি ঐ ভষণটি এখানে তুলে ধরলাম যাতে আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ইতিহাস ছেলেমেয়েরা বুঝতে পারে এবং আজকের এই ডিসেম্বর মাসে বিজয় ফুলের তাৎপর্য বুঝতে পারে। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেয়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণ “আজ দু:খ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবাই জানেন এবং বোঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করছি। কিন্তু দু:খের বিষয় আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম ,খুলনা, রাজশাহী রংপুর আমার ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়। বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ অধিকার চায়। কি অন্যায় আমরা করেছিলাম? নির্বাচনের পরে দেশের মানুষ সম্পূর্ণ ভাবে আমাকে, আওয়ামী লীগকে ভোট দেন। আমাদের ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলী বসবে, আমরা সেখানে শাসনতন্ত্র তৈরী করবো এবং এদেশকে আমরা গড়ে তুলবো, এদেশের মানুষ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে। কিন্তু দু:খের বিষয়, আজ দু:খের সঙ্গে বলতে হয়, ২৩ বছরের করুন ইতিহাস বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। ২৩ বছরের ইতিহাস, মুমূর্ষ নর-নারীর আর্তনাদের ইতিহাস। বাংলার ইতিহাস এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান মার্শাল জারী করে দশ বছর পর্য্যন্ত আমাদের গোলাম করে রেখেছিলো।” ১৯৬৬ সালে পাকিস্তানের শাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে যখন ৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারা দেশ যখন আন্দোলনে উত্তপ্ত, আমাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে দেশের মানুষ যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েছে তখন পাকিস্তানী শাসক আইয়ুব খান হিমসিম খেয়ে গেলেন। তুমুল সংগ্রাম চলছিলো, তখন পাক সেনারা ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালিয়ে অসংখ্য ছাত্রকে হত্যা করে সেই সঙ্গে হত্যা করে সংগ্রামী সাধারণ জানতাকেও। তখন একটি শ্লোগানই ছিলো-আমাদের দাবি মানতে হবে, নইলে গদি ছাড়তে হবে। শেষ পর্যন্ত ১৯৬৯ সালে উপায়ান্ত না দেখে আইয়ুব খান রাতের আঁধারে পশ্চিম পাকিস্তান পালিয়ে যান। তাঁর জায়গায় পূর্ব পাকিস্তানে পাঠানো হয় ইয়াহিয়া খানকে। এহিয়া খান আবার বঙ্গবন্ধুর সাথে ১০ তারিখে গোল টেবিলে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সোজাসুজি বলে দিয়েছিলেন, ” আমি তো অনেক আগেই বলেছি কিসের কিসের গোলটেবিল বৈঠক? কার সাথে বসবো? যারা আমার মানুষের রক্ত নিয়েছে তাদের সঙ্গে বসবো? বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে আরও বলেন, ভাইয়েরা আমার “পঁচিশ তারিখে এসেম্বলী কল করেছে। রক্তের দাগ শুকায় নাই। আমি দশ তারিখে বলে দিয়েছি যে, ঐ শহীদের রক্তের উপর দিয়ে পাড়া দিয়ে আর রাউন্ড টেবিল কনফারেন্সে মুজিবুর রহমান যোগদান করতে পারেনা। এসেম্বলী কল করেছেন আমার দাবী মানতে হবে প্রথম। সামরিক আইন উইথড্র করতে হবে। সমস্ত সামরিক বাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে হবে। যে ভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে। তারপরে ক্ষমতা জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। তারপর বিবেচনা করে দেখবো আমরা এসম্বলীতে বসতে পারবো কি পারবো না। আমি, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাইনা। আমরা এদেশের মানুষের অধিকার চাই। আমি পরিস্কার ভাবে বলে দেবার চাই যে, আজ থেকে বাংলাদেশে কোর্ট-কাচারী, আদালত, ফৌজদারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। গরীবের যাতে কষ্ট না হয়, যাতে আমার মানুষ কষ্ট না করে, সে জন্য অন্যান্য যে সমস্ত জিনিষগুলো আছে সে গুলোর হরতাল কাল থেকে চলবেনা। রিকশা, ঘোড়ার গাড়ি চলবে, লঞ্চ চলবে, শুধু সেক্রেটারীয়েট, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, জজকোর্ট, সেমি দফতরগুলো, ওয়াপদা কোন কিছু চলবেনা। ২৮ তারিখে কর্মচারীরা গিয়ে বেতন নিয়ে আসবেন। এর পরে যদি বেতন না দেয়া হয়, আর যদি একটি গুলি চলে, আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়, তোমাদের উপর আমার অনুরোধ রইলো, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সব কিছু আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম/ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম , জয় বাংলা।”

 

 

সংক্ষেপে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কিছু অংশ তুলে ধরলাম। এই ভাষণই ছিলো বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা। যেসব কুচক্রিমহল স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে আপ্রচার করে, তাদেরকে বলবো, বাংলাদেশ জন্মের সত্যিকারের ইতিহাস পড়ুন এবং জ্ঞান আহরণ করুন। যাদের জন্ম স্বাধীনতার সময় থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে, এসব যুবকদেরই এসব কুচক্রিমহল বিকৃত ইতিহাস তাদের মগজে ঢুকিয়ে দিয়ে পথভ্রষ্ট করে চলেছে। এদেরকে সত্যিকারের পথ দেখানো আমাদের সকলের কর্তব্য। সত্যিকারের ইতিহাস যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারে, সেজন্য বাস্তব পদক্ষেপ যেমন ইতিহসবিদদের নিতে হবে, তেমনি নিতে হবে সরকারকেও। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের পর থেকেই শুরু হয় পূর্ব পাকিস্তানে তুমুল আন্দোলন। পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় পূর্ব পাকিস্তানের সর্বস্তরের মানুষ। এ সময় এহিয়া খান যখন পূর্ব পাকিস্তানকে আর সামাল দিতে পারছিলেন না তখন তিনি রাতের আঁধারে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়ে পাঠালেন জেনারেল টিক্কা খানকে। জেনারেল টিক্কা খান পূর্ব পাকিন্তানের মাঠিতে পা রেখেই বললেন, আমি পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ চাইনা, মাটি চাই। টিক্কা খানের আদেশে তখন ছাত্র সহ সাধারণ মানুষের মিছিলে গুলি করে শত শত মানুষ হত্যা করে, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। বঙ্গবন্ধুকেও এরেষ্ট করে নিয়ে যাওয়া হয় পাকিস্তানে। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ তখনই স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জেনারেল ওসমানী সাহেবের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে মুক্তি বাহিনী। এই মুক্তি বাহিনী গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করে তোলে। এ সময় আমাদের দেশের কিছু সংখ্যক রাজাকার, আলবদর এর দল পাকিস্তানী সেনা বাহিনীকে পূর্ব পাকিস্তানের নীরিহ মানুষ হত্যা, তাদের মনোরঞ্জনের জন্য যুবতী মেয়ে, মহিলাদের ধরে নিয়ে তাদের হাতের তুলে দিতো। এই রাজাকারের বংশধররা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ পর্য্যন্ত তাদের খোলস বদলাতে পারেনি। তারা এখন আমাদের স্বাধীন দেশকে স্বীকার করে নিতে পারেনি। তাই তারা বিভিন্ন অজুহাতে দেশকে অস্থির করে রেখেছে। এদেরকে সমূলে ধ্বংস করতে না পারলে, দেশের স্বাধীনতা নিয়ে সারাজীবনই ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা করবে, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে বিপথে চালিত করছে এবং করবে। এখানে উল্লেখ্য যে, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক এরেষ্ট হওয়ার আগে লিখিত ঘোষণা ঘোষণা পাঠ করার জন্য জেনারেল জিয়াউর রহমানকে দায়িত্ব দিয়ে যান। এই ঘোষণা বঙ্গবন্ধু লেখা অনুযায়ী তিনি পাঠ করেন “আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি”, এই ঘোষণা চট্টগ্রামের কালুরঘাট রেডিও ষ্টেশন থেকে প্রচার করা হয়। জিয়াউর রহমানের এই ঘোষণাটি তখন আমরা শুনেছি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর জীবিতাবস্থায় কোনদিনই বলেননি যে, আমি স্বাধীনতার ঘোষক। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার দল বিএনপি “বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে”শব্দটি বাদ দিয়ে তারা প্রচার করছে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক। কতবড় মিথ্যাবাদী এই দল। সুতরাং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার সঠিক তথ্য ভবিষ্যত প্রজন্মকে জানানো রাজনীতিবিদ তথা সরকারের কর্তব্য। যাই হোক, মুক্তি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মুক্তি বাহিনীর হাতে অসংখ্য পাক সেনা নিহত হওয়ার পর, এত সৈন্য নিয়ে পালাবারও উপায়ান্তর না দেখে শেষ পর্যন্ত ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ভারতের সেনা প্রধান জগজিৎ সিং অরোরার কাছে পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল নিয়াজি আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হন। এই ১৬ই ডিসেম্বর হচ্ছে আমাদের বিজয় দিবস। স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরু থেকে মুক্তিযুদ্ধে যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণ করার উদ্দেশ্যেই প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের প্রথম তারিখ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত এই “বিজয় ফুল” বুকে ধারণ করা হয়।

 

অন্যান্য বছরের মতো এ বছর লন্ডনে সর্বস্তরে কর্মসূচী পালনের প্রত্যয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে বিজয়ফুল কর্মসূচী ২০২০। ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত বারোটা এক মিনিটে লন্ডনে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, লেখক ও শিক্ষক সেলিম জাহান। উদ্বোধনকালে সেলিম জাহান বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের চার মূলনীতি এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে বিজয়ফুল কর্মসূচী কার্য্যকর ভূমিকা পালন করবে। অনলাইনে কর্মসূচীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিভিন্ন দেশের বিজয়ফুল উজ্জীবিকগন। এ সময় বিজয়ফুল কর্মসূচীর চেয়ার কবি শামীম আজাদ বলেন, এ কমসূচী এখন সর্বস্তরে পালিত হচ্ছে এবং তা এখন জাতীয় কর্মসূচীতে রূপ লাভ করছে। তিনি বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে এ কর্মসূচীতে যুক্ত করার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন। বিজয় ফুল কর্মসূচীর ঢাকা চ্যাপ্টারের প্রধান শেখ রাযযাক বলেন,আমরা প্রতি বছরের ন্যায়ে এবছরও বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশে সফল ভাবে কর্মসূচি পালন করতে পারবো বলে আশা রাখছি।সকলের সহযোগিতায় আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। বিজয় ফুল কমসূচীর সমন্বয়ক কবি মিল্টন রহমান ও যুগ্ম সমন্বয়ক কবি অপু ইসলামের পরিচালনায় অনলাইন অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আবু মুসা হাসান, মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মেফতা ইসলাম, সাংবাদিক নিলু হাসান, মানচেষ্টার কর্মসূচীর উজ্জীবক জাওয়াদ ইকবাল চৌধুরী, নাজমা ইয়াসমীন, কার্ডিফ কর্মসূচীর উজ্জীবক সাংবাদিক মকিস মনসুর, সুইডেন থেকে জুলফিকার হায়দার, নাজমুল, নাজমুল খান, ইতালী থেকে নাজমুল হোসেইন, ঢাকা থেকে আবু সাঈদ সুরুজ, শেখ রাজ্জাক, লন্ডন থেকে কবি ফারাহ নাজ, আরফুমান চৌধুরী, স্মৃতি আজাদ, কাউন্সিলার সৈয়দা সায়মা আহমেদ, সাদিক আহমেদ চৌধুরী সাদি প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে আরফুমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। আলোচনার এক পর্য্যায়ে মুক্তিযোদ্ধার চিঠি পাঠ করেন স্মৃতি আজাদ। এ সময় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা তাদের বক্তব্যে বলেন, আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। সেই স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে অমর করে রাখতে বিজয়ফুল কর্মসুচী যে ভূমিকা পালন করছে তা তুলনাহীন। এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্য্যন্ত বিজয়ফুল কর্মসূচী পালনের অনুরোধ জানানো হয়। কর্মসূচী পালনে কেন্দ্র থেকে সব ধরণের সহায়তা দেয়া হবে বলেও জানানো হয়।

 

বৈশাখী নিউজ/ ফাজা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর