অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল, স্বেচ্ছাসেবীর দেহে ‘ভুয়া’ এইচআইভি!
অস্ট্রেলিয়ার তৈরি করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার পর এক স্বেচ্ছাসেবীর দেহে ‘ভুয়া’ এইচআইভি ধরা পড়ে। এরপর ভ্যাকসিনটি বাতিল করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া সরকার দেশটির সংস্থা সিএসএল এবং কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় (ইউকিউ) থেকে তৈরি হওয়া এই ভ্যাকসিনটির ৫ কোটি ১০ লাখ ডোজ কিনতে সম্মত হয়েছিল। ভুয়া রিপোর্ট আসার পর সরকার জানিয়েছে, ওই প্রতিষ্ঠান থেকে না নিয়ে অন্য জায়গা থেকে এখন করোনার ভ্যাকসিন কেনা হবে।
ভ্যাকসিনটির প্রস্তুতকারক সিএসএল এবং কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করছে, ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্যের কোনো ঝুঁকি নেই। এইচআইভি পজিটিভ ধরা পড়ার রিপোর্ট ‘ভুল’ এসেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়া সরকার এখন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি নোভাভ্যাক্স ভ্যাকসিনের জন্য একটি চুক্তি করেছে। পাশাপাশি ভ্যাকসিনটির জন্য বর্তমান অর্ডার বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
সিএসএল এবং কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, ভ্যাকসিনটি পরীক্ষার প্রথম পর্যায়ে ছিল এবং অ্যান্টিবডি তৈরিতে কার্যকর হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল। তবে টিকাটি নেওয়ার পর গ্রাহকদের মধ্যে করোনাভাইরাসের পাশাপাশি এইচআইভির অ্যান্টিবডিও তৈরি হয়। এ কারণেই পরবর্তী পরীক্ষায় এইচআইভির পজিটিভ হওয়ার ভুল রিপোর্ট আসে। অন্য পরীক্ষায় এটা প্রমাণ হয়, স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এইচআইভি ছিল না।
ভ্যাকসিনের এ সমস্যাটি সমাধানে আরও প্রায় এক বছর লেগে যাবে বলে জানিয়েছে সিএসএল এবং কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তাই আপাতত ভ্যাকসিনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব ব্রেন্ডন মারফি বলেন, ‘ভ্যাকসিনটি কাজ করার সম্ভাবনা ছিল। তবে আমাদের আত্মবিশ্বাসের কারণে কোনো ইস্যু তৈরি হোক তা আমরা চাইনি। এইচআইভি’র এই বিভ্রান্তিকর পজিটিভ ফলাফল আমাদের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিয়েছে।’
বৈশাখী নিউজ/ ফাজা