নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও তুরস্কের সঙ্গে সুরাহার ব্যাপারে আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট: December 16, 2020 |

নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও তুরস্কের সঙ্গে সুরাহার একটি পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

রয়টার্স জানিয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এস-৪০০’র বাধা দূর করে তুরস্কের সঙ্গে প্রতিরক্ষা খাতে বহু দশক পুরোনো ঐতিহাসিক সহযোগিতা বজায় রাখতে আগ্রহী বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে আমি তুরস্ককে অবিলম্বে এস-৪০০ সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দকে একাধিকবার পরিষ্কার করে জানিয়েছে, তারা এস-৪০০ সিস্টেম কিনলে তা যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্য ও সামরিক প্রযুক্তির নিরাপত্তার জন্য চিন্তার কারণ হবে।

তারপরও তুরস্ক এস-৪০০ কেনার পথে এগিয়েছে এবং এ ব্যবস্থার পরীক্ষাও চালিয়েছে। অথচ তুরস্কের সামনে বিকল্প ব্যবস্থাও ছিল।

এদিকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও অস্ত্রবিস্তার রোধ বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্র কর্মকর্তা ক্রিস্টোফার ফোর্ড সাংবাদিকদের বলেছেন, তুরস্কের সিদ্ধান্তের কারণে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আর কোনো বিকল্প ছিল না।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি তুরস্ক সরকার এই সমস্যার একটি সমাধানের পথ খুঁজে বের করার চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী হবে।

রাশিয়ার কাছ থেকে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ কেনার কারণে ন্যাটোমিত্র তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার আঙ্কারার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। বলছে, প্রেসিডেন্সি অব ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজে সব মার্কিন রফতানি লাইসেন্স নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং সংস্থাটির প্রেসিডেন্টের যে কোনো ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হবে।

গত বছর তুরস্ককে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ হস্তান্তর করেছে রাশিয়া। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের তরফে হুশিয়ারি করে দেয়া হয়েছিল যে, ন্যাটো জোটে তুরস্কের সদস্যপদের সঙ্গে এটি যায় না।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্যায়ভাবে এই নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি সংলাপ ও কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।

বৈশাখী নিউজফাজা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর