আমেরিকান সরকারি তথ্যে সাইবার হামলা!

আপডেট: December 18, 2020 |

এবার আমেরিকায় সাইবার হামলার কথা মেনে নিল দেশটির এনার্জি ডিপার্টমেন্টও। আমেরিকান সরকারি তথ্যে এটাই সবচেয়ে বড় হ্যাকিং বলে জানাল এই দফতর। এই দফতরের অধীনেই রয়েছে পরমাণু অস্ত্রশস্ত্র। তবে অস্ত্রাগারের তথ্য হ্যাকাররা চুরি করতে বা হাতিয়ে নিতে পারেনি বলেই দাবি দফতরের কর্মকর্তাদের।

এ বিষয়টি নিয়ে বিদায়ী প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনও মন্তব্য করেননি। তবে বিষয়টিকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে সুরক্ষার আশ্বাস দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

আমেরিকার বিভিন্ন সরকারি দফতরে বেশ কিছু দিন ধরেই সাইবার হামলা নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে। কিন্তু সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় হল, হ্যাকারদের উদ্দেশ্য ঠিক কী ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফলে কোন দফতরের কী তথ্য চুরি গেছে বা আদৌ কিছু খোয়া গেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হ্যাকিংয়ের কোনও প্রত্যক্ষ প্রভাব এখনও পড়েনি। তবে অদূর ভবিষ্যতে যে পড়বে না, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আপাতত আমেরিকার বিভিন্ন সরকারি দফতরে সফটওয়্যার সরবরাহকারী একটি সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই সংস্থার সফটওয়্যার সরিয়ে ফেলতে বা নিষ্ক্রিয় করে দিতে।

 

এ বছরের মার্চ থেকে এই হ্যাকিংয়ের চেষ্টা চলছিল। কিন্তু তা নজরে এসেছে প্রায় ৯ মাস পর। আর বিষয়টি সামনে আসতেই কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছে আমেরিকার সাইবার নিরাপত্তার দেখভালের দায়িত্বে থাকা সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার এজেন্সি।

সংস্থাটির বক্তব্য, রীতিমতো পরিকল্পনা করে দীর্ঘদিন ধরে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিল হ্যাকাররা। দফতরের মুখপাত্র শার্লিন হাইন‌স নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে, সাইবার তথ্যে হামলা হয়েছে। তবে পরমাণু অস্ত্রের নিরাপত্তায় তাতে কোনও প্রভাব পড়েনি।

কিন্তু হোয়াইট হাউস প্রশাসনের মাথাব্যথার আরও কারণ হল, হ্যাকারদের সম্পর্কেও বিন্দুমাত্র আঁচ করা যায়নি। এর পেছনে কোনও ব্যক্তি, নাকি কোনও দেশ রয়েছে, তা নিয়ে বিস্তর ধোঁয়াশা। প্রাথমিক ভাবে সন্দেহের তির রাশিয়ার দিকে। যদিও ওয়াশিংটনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, সাইবার তথ্যের উপর নজরদারি বা গুপ্তচরবৃত্তি করে না তাদের দেশের সরকার।

বৈশাখী নিউজফাজা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর