মাউন্ট ম্যাঙ্গানিউতে ফলোঅন এড়াতে পাকিস্তানকে করতে হবে ২৩১ রান

আপডেট: December 27, 2020 |

কেন উইলিয়ামসন হাফ সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়েছেন। হেনরি নিকোলস ও বিজে ওয়াটলিং পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। সঙ্গে দ্যুতি ছড়িয়েছেন জেমিসন।প্রথম দিনের ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় দিনও ব্যাটিংয়ে দাপট দেখিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। তাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড়ে স্বাগতিকরা। সবকটি উইকেট হারিয়ে তারা তুলেছে ৪৩১ রান। জবাবে রোববার দ্বিতীয় দিন শেষে ২০ ওভার ব্যাটিং করার সুযোগ পায় পাকিস্তান। ৩০ রান তুলতেই সফরকারীরা হারিয়েছে ১ উইকেট। মাউন্ট ম্যাঙ্গানিউতে পাকিস্তান এখনও পিছিয়ে ৪০১ রানে।ফলোঅন এড়াতে পাকিস্তানকে করতে হবে ২৩১ রান। ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তা বলাই যায়।

সবুজের আচ্ছাদনে দৃঢ়তার ছবি এঁকে প্রথম দিন ৯৪ রানে অপরাজিত ছিলেন উইলিয়ামসন। তার থেকে সেঞ্চুরির প্রত্যাশা করছিল সকলেই। কিউই অধিনায়ক হতাশ করেননি। ২৩তম সেঞ্চুরি তুলে নেন দিনের শুরুতেই। অপরপ্রান্তে থাকা হেনরি নিকোলস দশম হাফ সেঞ্চুরি পেয়ে যান সহজে।

কিন্তু মাইলফলক ছোঁয়ার পর কেউ ইনিংস বড় করতে পারেননি। নাসিম শাহের লাফিয়ে উঠা বাউন্সারে নিকোলস ৫৬ রানে ক্যাচ দেন। সঙ্গী হারানোর পর উইলিয়ামসনের ব্যাট থেমে যায় ১২৯ রানে। ইয়াসির শাহর অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ দেন। ২৯৭ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় ডানহাতি ব্যাটসম্যান নিজের ইনিংসটি সাজান।

সপ্তম উইকেটে জুটি বাঁধেন কাইল জেমিসন ও বিজে ওয়াটলিং। মধ্যাহ্ন বিরতির পর তাদের জমাট জুটিতে আসে গুরুত্বপূর্ণ ৬৬ রানে। তাতে দলের রান চারশ ছাড়িয়ে যায়। উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান ওয়াটলিং ৭৩ রানে আফ্রিদির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। জেমিসনের ব্যাট থেকে আসে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৩২ রান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে নেইল ওয়াগনার ১৯ রানে আউট হলে নিউ জিল্যান্ডের ইনিংস থামে ৪৩১ রানে।

বল হাতে পাকিস্তানের সেরা আফ্রিদি। ১০৯ রানে পেয়েছেন ৪ উইকেট। ইয়াসির শাহ পেয়েছেন ৩ উইকেট। ১ উইকেট করে পেয়েছেন মোহাম্মদ আব্বাস, ফাহিম আশরাফ ও নাসিম শাহ।

প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানে শুরুটা ছিল নড়বড়ে। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান বেশ সতর্ক হয়ে ব্যাটিং করছিলেন। টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্টের ভয়ংকর পেস ও বাউন্সারগুলো সামলাচ্ছিলেন সিদ্ধহস্তে। কিন্তু জেমিসন বোলিংয়ে এসে পেয়ে যান সাফল্য।

শান মাসুদ ডানহাতি পেসারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ১০ রানে। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমেছিলেন মোহাম্মদ আব্বাস। ১০ বল মোকাবিলা করে শেষ বিকেলে উইকেট হারানো থেকে দলকে বাঁচান আব্বাস। তার সঙ্গে ১৯ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন আবীদ আলী।

 

 

বৈশাখী নিউজইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর