সেলিম আল দীনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আপডেট: January 14, 2021 |

প্রখ্যাত নাট্যকার ও গবেষক সেলিম আল দীনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের এই প্রতিষ্ঠাতা।

স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে সেলিম আল দীনের। তিনি নাটকের আঙ্গিক ও ভাষার উপর গবেষণা করে স্মরণীয় হয়ে আছেন। বাংলা নাটকের শিকড় সন্ধানী এ নাট্যকার ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাট্যের বিষয় ও আঙ্গিক নিজ নাট্যে প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলা নাটকের আপন বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরেছেন।

নাট্যকার সেলিম আল দীনের জন্ম ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট, ফেনী জেলার সোনাগাজীতে। তিনি ছিলেন বাবা-মায়ের তৃতীয় সন্তান। বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। সেই সূত্রে ঘুরেছেন বহু জায়গায়। লেখক হবেন এমন স্বপ্ন তিনি ছেলেবেলা থেকেই দেখেছেন। এ বিষয়ে তিনি পাকা সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর। লেখক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৬৮ সালে। সে বছর কৃষ্ণাঙ্গদের নিয়ে তার একটি প্রবন্ধ দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই তিনি নাটকে জড়িয়ে পড়েন, যুক্ত হন ঢাকা থিয়েটারে।

নাটকে তিনি বলেছেন, মানুষের কোনো আলাদা পরিচয় ও ঠিকানা নেই। এই পরিচয় ও ঠিকানা না থাকলে তার জাতও থাকে না।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠা সেলিম আল দীনের হাত ধরেই। ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সেলিম আল দীন ১৯৮১-৮২ সালে নাট্য নির্দেশক নাসির উদ্দিন ইউসুফকে সাথী করে গড়ে তোলেন গ্রাম থিয়েটার।

সেলিম আল দীন ১৯৮৪ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ২০০২ সালে পান কথাসাহিত্য পুরস্কার। ১৯৯৪ সালে তিনি নান্দিকার পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৪ সালে শ্রেষ্ঠ টেলিভিশন নাটক রচয়িতার পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি পান শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার পান ২০০১ সালে। সেলিম আল দীন বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্মানীয় পুরস্কার একুশে পদক লাভ করেন ২০০৭ সালে। ১৯৯৫ সালে তিনি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে নাটক এর উপর গবেষণা করে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর