কিছু বন্ধুর উসকানিতে’ বাবরের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন হামিজা

আপডেট: January 15, 2021 |

পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন হামিজা মুখতার নামে এক নারী। বাবর তাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করায় তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন এমন অভিযোগে মামলাও করেছিলেন।

এমন মিথ্যা অভিযোগে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল। পরে প্রমাণ হয় বিষয়টি মিথ্যা। পাকিস্তানের ওই নারী বাবরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ তোলার কারণ জানিয়েছেন।

‘কিছু বন্ধুর উসকানিতে’ বাবরের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন বলে স্বীকার করেছেন হামিজা। মূলত বিখ্যাত হতে কিংবা রাতারাতি আলোচনায় আসতে তাকে এই বুদ্ধি দিয়েছিল তার বন্ধুরা।

হামিজা অবশেষে জানিয়েছেন, পাকিস্তান অধিনায়কের সঙ্গে অতীতে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না, এখনও নেই।

শুক্রবার সাজ সাদিক নামে এক পাকিস্তানের সংবাদকর্মী টুইটারে এ নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা গেছে, হামিজা মুখতার আইনজীবীর সামনে এক চুক্তিনামায় সই করছেন।

হামিজার পক্ষে তার আইনজীবী চুক্তিনামা পড়ে শোনান।

হামিজা লিখেছেন– ‘কোনো চাপ ছাড়াই আমি এই বিবৃতি দিচ্ছি। কিছু বন্ধু আমাকে বলেছিল– বাবরের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করো, বিখ্যাত হয়ে যাবে।  এর পর আমি এমন কোনো অভিযোগ করলে, আমার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

 

গত বছরের ২৮ নভেম্বর বাবর আজমের বিরুদ্ধে গুরুতর সব অভিযোগ আনেন হামিজা মুখতার। সে সময় বাবর নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করছিলেন।

সেদিন লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলন করে ওই নারী অভিযোগ করেন, পাক অধিনায়ক বাবর আজম তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা করেছেন।  এমনকি গর্ভে সন্তান আসায় তাকে গর্ভপাতেও বাধ্য করেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, যখন সে ক্রিকেটে তেমন কিছুই ছিল না, তখন থেকেই তার সঙ্গে আমার পরিচয়। বাবর দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা। আমরা একই কলোনিতে থাকতাম। বহু সময় আমরা একসঙ্গে কাটিয়েছি। আমার সঙ্গে সে যে প্রতারণা করেছে, তার বিচার আমি চাই। সব সাংবাদিক ভাইবোনের কাছে আমার আবেদন– আপনারা আমার পাশে থাকবেন। আমি যে প্রতারণার শিকার হয়েছি, অন্য কেউ যেন এমন পরিস্থিতির শিকার না হন।

এর পর লাহোর আদালতে বাবরের বিরুদ্ধে মামলাও ঠুকে দেন হামিজা।

হামিজা মুখতারের অভিযোগের ভিডিও সেদিন টুইটারে পোস্ট করেন সংবাদকর্মী সাজ সাদিক। এর পরই তা ভাইরাল হয়ে পড়ে।

এমন অভিযোগের বিষয়ে পিসিবি বা বাবরের পক্ষ থেকে পাল্টা কোনো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও শুরু থেকেই অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে আসছিলেন বাবরের আইনি পরামর্শকরা।

গত ২৫ ডিসেম্বর বাবরের আইনি পরামর্শক দল ওই নারীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনেন, বাবরের কাছে এক কোটি পাকিস্তানি রুপি (বাংলাদেশ মুদ্রায় প্রায় ৫৩ লাখ টাকা) দাবি করেন হামিজা। এ অর্থ দিলেই মামলা তুলে নেবেন তিনি।

অবশেষে দেড় মাসের বেশি সময় পর মামলা তুলে নিলেন সেই নারী।

তথ্যসূত্র: টুইটার

বৈশাখী নিউজবিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর